কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কাজল-হত্যা মামলার রায় ঘোষণা
মৃত্যুর ১৩ বছর পর ন্যায়বিচার!
১৩ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ফিরোজ আহমেদ কাজল (২৮) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ৮জনের যাবজ্জীবন সাজাসহ প্রত্যেকের ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১বছরের সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহষ্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলামের আদালতে এই রায় ঘোষনা করা হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার কলিকাাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেনে ছেলে মাসুদ (পলাতক), সিদ্দিক, নরুল ইসলামের ছেলে মাসুম মোল্লা (পলাতক), গাংনী উপজেলার আজগর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও মৃত শের আলী মোল্লার ছেলে মেসকাত আলী মোল্লা, নুর মোহম্মাদ বিশ্বাসের ছেলে সোহেল রানা, কামাল হোসেনের ছেলে ওয়াসিম রেজা (পলাতক) এবং মৃত লালন সেখের ছেলে জাকির হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১২ জুলাই বিকেলে মিরপুর উপজেলা বাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ফিরোজ আহমেদ কাজল (২৮) মোটরসাইকেলে ভেড়ামারা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। এরপর দুইদিন ধরে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে কল করে পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কাজলের জীবিত অথবা মৃত কোন সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজ কাজলের পিতা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মুক্তিপণ দাবি করা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ এনে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৪ আগষ্ট অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ এনে ১১জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মিরপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম। আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, অনেক দেরিতে হলেও মিরপুর থানার কাজল কে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ৮ আসামীর যাবজ্জীবন সাজাসহ জরিমানা আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। ধার্যকৃত জরিমানার অর্থ পরিশোধ ব্যর্থ হলে প্রত্যেকে অতিরিক্ত আরও এক বছর করে সাজা ভোগ করতে হবে।
তবে এই মামলার যে সব আসামীদের সাজা দেয়া হয়েছে তাদের সবগুলির বিরুদ্ধে গত ২১মার্চ বিজ্ঞ আদালত দৌলতপুর থানার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের দায়ে বিভিন্ন দন্ডের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। আজ বৃহষ্পতিবার ও গত সোমবারের রায়ের সময় যারা পলাতক ছিলেন সেসব আসামীরা আজও রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে এদের কেউ কেউ হয়ত পুলিশ বা র্যাবের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে থাকতে পারেন।