ফের মুক্ত আকাশে ফিরেছে হিমালয়ান গ্রিফন শকুন
সুস্থ হয়ে ওঠায় তিনটি হিমালয়ান গ্রিফন শকুনকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকীছড়া এলাকায় এই শকুনগুলোকে ছাড়া হয়েছে।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে দুই মাসের অধিক সময় এই তিনটি শকুন জানকীছড়া রেসকিউ সেন্টারে ছিল।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই শকুন তিনটির একটিকে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের দেওরাছড়া, একটিকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সরাইল এবং একটিকে হবিগঞ্জের রেমা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
এ সময় শকুনগুলো অসুস্থ ও অত্যন্ত দুর্বল ছিল। উদ্ধার শেষে এই তিনটি শকুনকেই জানকীছড়া রেসকিউ সেন্টারে রেখে সেবা-শুশ্রুষা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় একদিন পর পর প্রত্যেকটি শকুনকে আধা কেজি করে গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে। এতে ধীরে ধীরে তিনটি শকুনই সুস্থ ও সবল হয়ে ওঠে।
সুস্থ হওয়ায় মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জানকীছড়ায় তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পেয়ে তিনটি শকুনই খোলা আকাশে উড়ে গেছে।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘হিমালয়ান গ্রিফন ভালচার বা শকুনের আবাস হিমালয়-সংলগ্ন নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান এলাকায়।
শীতের সময় বরফ আচ্ছাদিত এলাকা থেকে এরা আমাদের দেশের দিকে আসে। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের আসা চলতে থাকে।
গরম পড়লে এরা আবার নিজ নিজ এলাকায় চলে যায়। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে উড়ার কারণে একপর্যায়ে এই শকুন দুর্বল হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। শীতের সময়ই এরা বেশি ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, ‘ছেড়ে দেওয়া তিনটি শকুনই এখন সুস্থ। আশা করছি শীঘ্রই ওরা হিমালয় অঞ্চলে ফিরে যাবে।’