সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ০৮ মার্চ, ২০২২

প্রতারণার মামলায় সাবেক এসআই’র স্ত্রীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে অন্যের জমি জবর-দখলের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক এস.আই এসএম হুমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও শহরের মুন্সিপাড়ার ভূমিদস্যু ছালাম গাজীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান একই সাথে ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দেন।

এ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন-আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের মাদার সরদারের স্ত্রী জবেদা খাতুন, সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের শেখ আব্দুর রশিদ, মুন্সিপাড়ার বাবলু গাজীর ছেলে ভূমিদস্যু ছালাম গাজী, আলীপুর চাপারডাঙ্গী গ্রামের বর্তমান ইউ.পি সদস্য জাহিদুর রহমান, পুরাতন সাতক্ষীরার আলাউদ্দীনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম, সদর থানার সাবেক এস, আই এস, এম হূমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন, পুরাতন সাতক্ষীরার রিয়াছাত আলী, তার স্ত্রী করিমন বেগম ও সদর সাব-রেজিস্টি অফিসের দলিল লেখক সিরাজুল ইসলাম।

জানা যায়, আশাশুনির শ্রীউলা গ্রামের মৃত. আহম্মদ আলীর ছেলে শাহীন ইকবাল ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সাতক্ষীরা সদরের সাব-রেজিস্টার মো. লুৎফর রহমান মোল্যা, সদর থানার সাবেক এস.আই এসএম হূমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও শহরের মুন্সিপাড়ার ভূমিদস্যু ছালাম গাজীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা কার্যালয়কে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর তদন্ত শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর উপ সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল সাতক্ষীরা সদরের সাব-রেজিস্টার মো. লুৎফর রহমান মোল্যাকে আসামি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে সাক্ষী শ্রেণিভুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চার্জশিট,প্রতারণার মামলা,মামলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close