ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
ডিমলায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে ভোজ্য তেল, মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ ও সবজিসহ সকল পণ্যের দাম। এমন অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতি নিয়ে দিশেহারা ডিমলা এলাকার সাধারণ মানুষ।
রবিবার(৬ মার্চ ) সকালে ডিমলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র চোখে পড়ে।
বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পাতাকপি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ২০ টাকা, বরবটির কেজি ১১০ টাকা ও মটরশুটির কেজি ৯০ টাকা। বাজারে আলুরও দাম বেড়েছে।
আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বাজারে রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আদার কেজি ৮০ -১০০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১২০ টাকা।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। বয়লার মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা।
ডিমলা বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ডিমের উৎপাদন ও আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কম হচ্ছে। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস । কেজি প্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা।
বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৪৫ টাকা কেজি। বেড়েছে লেয়ার মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি।
মুরগি বিক্রেতা মোস্তফা বলেন, উৎপাদন কম থাকায় মুরগির দাম বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, মুরগির খাদ্যের দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা করে বেড়েছে বলেই মুরগির দাম বাড়তি। দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
কাঠমিস্ত্রী মো. তহিনুর ইসলাম বলেন, আমি দৈনিক মজুরি বাবদ ৩০০-৩৫০ টাকা আয় করি। পরিবারে সদস্য ৬ জন। যা আয় করি তা দিয়ে বর্তমানে সবজি ও তেল কিনতে শেষ, চাল কিনবো কিভাবে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি।
ইয়ংলাইট এসসিএস লি. এর পরিচালক মো. বাদশা সেকেন্দার (ভুট্টু) বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছে সুযোগ সন্ধানী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এজন্য প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা জরুরি।