reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ মার্চ, ২০২২

বেনাপোলে ভারতীয় ট্রাক থেকে অর্ধকোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য আটক

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে অর্ধকোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্সে (শুল্ক মুক্ত) এর মাধ্যমে আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্স -এর ট্রাকে বিশেষভাবে লুকিয়ে আনা শাড়ি, থ্রিপিচ, বাংলা মদ, ফেন্সিডিল. বিদেশী সিগারেট, ওষুধ, কারেন্ট জালসহ বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য আটক করা হয়েছে ।

বুধবার (২ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে পণ্যের চালানটি আটক করা হয়। আটক মালামালের মুল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। নিষিদ্ধ এ পণ্য আনার ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় ড্রাইভারের সরাসরি যোগাযোগ থাকলেও ট্রাকসহ ড্রাইভারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্সের আমদানিকারক ঢাকাস্থ অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেড ও ফ্যাশান ফোরাম লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় বেনাপোলের শিমুল ট্রেডিং এজেন্সী নামে একটি সিএন্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউস।

বেনাপোল কাস্টমস সুত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, বন্ডের লাইন্সের মাধ্যম ভারত থেকে আমদানিকৃত ২৫৮ রোল ডেনিম ফেব্রিক্সের ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে বিপুল পরিমান ঘোষণা বহির্ভূত আমদানি নিষিদ্ধ মদ, ফেন্সিডিল, ওষুধসহ বিপুল পরিমান অবৈধ ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পণ্য আনা হয়েছে।

এ ধরনের সংবাদ পাওয়ার পর যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া ও ডেপুটি কমিশনার আহসানুল কবিরের নেতৃত্বে ইনভেষ্টিগেশন রিসার্স ম্যানেজমেন্ট (আইআরএম) এর একটি টিম বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকে ডব্লিউ বি-২৩সি-১৬১৫ নম্বরের একটি ভারতীয় ট্রাক জব্দ করে কাস্টমস হাউসে নিয়ে আসেন।

পরে ট্রাকটি তল্লাশি করে ঘোষিত পণ্যের মধ্যে থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৯৯৫ বোতল ফেন্সিডিল, বাংলা মদ ৬ বোতল, বিদেশী সিগারেট ৯৭৬০০ শলাকা, বাবা জর্দা ২৯.৬ কেজি, ডায়াপার, আতসবাজি ৬০ কেজি, শাড়ি ৪৮ পিচ, থ্রিপিচ ২৫ পিচ, কারেন্ট জাল ৭০ কেজি ও ভারতীয় বিভিন্ন ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স আটক করা হয়। আটককৃত মালামালের মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমান মালামাল আটকের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে বিপুল পরিমান আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য পাওয়া গেছে। যার বাজার মুল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

এ ঘটনায় বেনাপোলের শিমুল ট্রেডিং এজেন্সী নামে একটি সিএন্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান আছে।

এদিকে স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্টরা জানান, ভারতীয় এক শ্রেণীর ট্রাক চালকরা অর্থের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে বৈধ আমদানি পণ্যের সাথে চোরাচালানী সিন্ডিকেটের অবৈধ পণ্য পাচার করে আসছে। এর আগে অসংখ্য ট্রাক অবৈধ মালামালসহ বেনাপোল কাস্টমস বিজিবি‘র হাতে ধরাও পড়েছে।

অপরদিকে পেট্রাপোল বিএসএফ ও পুলিশ ভারতীয় ট্রাক এর মধ্য থেকে সোনা, ডলার, পাসপোর্ট, মোবাইল, রুপার গহণাসহ ট্রাক চালককে আটক করেছে।

ভারতে ট্রাক চালক আটক হলেও বেনাপোলে ভারতীয় কোন ট্রাক চালককে আটক করা হয় না। এখানে আমদানিকারক ও সংশ্লিস্ট সিএন্ডএফকে দায়ী করা হয়। অথচ তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।

এসব ঘটনায় বন্দর ব্যবহারকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close