জহিরুল ইসলাম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

ফের পর্যটক কমছে কুয়াকাটায়

আবারো বিপর্যয়ের মুখে পড়ার আশঙ্কায় কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র। শীত মৌসুম আসলেই প্রতি বছর লাখো পর্যটক ভিড় করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায়, একই স্থানে দাড়িয়ে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দেখার জন্য। কিন্তু একের পর এক করোনা প্রকটের ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা কুয়াকাটার পর্যটন খাত।

গত ১৯ আগস্ট ২০২১ থেকে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার পর এ খাতে কিছুটা পরিবর্তন আসা শুরু হলেও ১৩ জানুয়ারি থেকে তৃতীয় ধকলে শুরু হয়েছে নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন এর নির্দেশনা। তাই ক্রমন্বয়ে কমে আসছে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণা। ফলে আবারো বিপর্যয়ের শঙ্কায় পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাগরকন্যা খ্যাত কুয়কাটায় অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত ছাড়াও আছে বেড়ানোর মতো আরো নানান আকর্ষণ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে একমাত্র কুয়াকাটার সৈকত থেকেই সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত। সাগরকন্যার এই সৌন্দর্য দেকগার জন্য দেশি-বিদেশি লাখো দর্শণার্থিরা ভিড় করে থাকে। কিন্তু বিশ্বে নতুন করে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। ফলে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল পেশাজীবীদের মাঝে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহালম জানান, এই শুক্রবার হোটেল বুকিং ছিল ৫০% এরও কম। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্রমন্বতে ধস নামা শুরু করছে। আবার জীবন বাচাতে লড়াই করতে হবে পরিবার পরিজন নিয়ে এই পেশায় নির্ভরশীল কর্মজীবীদের।

পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বারবার করোনা মহামারিতে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটন পেশার লোকজন বেকার হয়ে গেলে কুয়াকাটা পর্যটনশিল্পের উপর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পর্যটক,কুয়াকাটা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close