সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিংগাইরে এক রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ টাকা লুট
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ লুটে নেয় ডাকাত দল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলা তালেবপুর ইউনিয়নের নতুন ইরতা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে নুরু উদ্দিন (৪৫) ও পার্শ্ববর্তী প্রবাসী শাকিল খানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৩) এর বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নুরু উদ্দিনের স্ত্রী মনি বলেন, আমরা বাড়ি লোকজন রাত একটা পর্যন্ত টিভি দেখতে ছিলাম। হঠাৎ মুখোশধারী ৯-১০ জনের একটি ডাকাত দল বাহিরের গেট টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে আইনের লোক পরিচয়ে আমাদের বিল্ডিংয়ের গেট খুলতে বলে। আমরা গেট না খুলে রুমের বারান্দা দিয়ে উঁকি দিয়ে মুখোশধারী ডাকাত দল দেখে ডাক-চিৎকার করি। ততক্ষণে বিল্ডিংয়ের কেচি গেটের তালা ও থাই গ্লাসের দরজার নক ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং আমাদের শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে আমাদের জিম্মি করে উপুর্যুপরি মারধর করে সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ পচাঁত্তর হাজার টাকা লুটে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
অপর ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগমের মেয়ে শারমিন বলেন, আমার বাবা বিদেশ থাকে। আমার ছোট ভাই, আমি, আমার মা একই রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম। হটাৎ রাত আড়াইটার দিকে দরজার নিচ দিয়ে টর্চ লাইটের আলো দেখে আমার মা বলে বাহিরে কে? এমন সময় আইনের লোকের কথা বলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা দরজা ভেঙ্গে ৯-১০ জনের ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে আমাদের জিম্মি করে মারধর করে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা লুটে নেয়। এ সময় আমার মা ডাক-চিৎকার করায় ডাকাতরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মার হাটুতে কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে আমাদের আত্ম-চিৎকারে আশে পাশে লোক এগিয়ে এসে আমার মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সিংগাইর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি)মোহা. রেজাইল হক ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।