এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া)

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

মাইলেজ জটিলতা 

সান্তাহার স্টেশন থেকে ছাড়েনি চারটি ট্রেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের লোকোমাস্টার, গার্ড, ড্রাইভার ও টিটিইদের মাইলেজ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূর না করলে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ সংগ্রাম পরিষদের সান্তাহার আঞ্চলিক কমিটি এ ঘোষণা দিয়েছে।

আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধসহ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে করে স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়ে। ট্রেনের এ কর্মবিরতির কথা যাত্রীরা জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ওই কমিটির সদস্যরা সান্তাহার জংশনের ফুটওভার ব্রিজে এ সংক্রান্ত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, মাইলেজ জটিলতার কারণে ইতিমধ্যে সান্তাহার জংশন স্টেশনে চারটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করে। যা ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত সান্তাহার জংশন স্টেশনে অবস্থান করছিল।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, খুলনা-পারবর্তীপুর অভিমূখে (কেপি ৩৭ ও কেপি ৩৯) তেলবাহী দু’টি ট্রেন বুধবার রাত তিনটায় উপজেলার সান্তাহার জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। এরপর ওই ট্রেনের লোকোমাস্টার, গার্ড, ড্রাইভার ও টিটিইরা দায়িত্ব পালন না করায় ট্রেনটি স্টেশন থেকে আর ছাড়া সম্ভব হয়নি।

এছাড়া লালমনিরহাট-সান্তাহার মেইলট্রেন (১৯ আপ ও ২০ ডাউন) ট্রেন দু’টি বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও লোকোমাস্টার, গার্ড, ড্রাইভার ও টিটিইরা না থাকায় যাত্রা বাতিল করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি)সকাল ছয়টা ২০ মিনিটে সান্তাহার থেকে লালমনিরহাট গামী ট্রেনটিও ছাড়া হয়নি। এতে করে স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়ে। ট্রেনের এ কর্মবিরতির কথা যাত্রীরা জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

সান্তাহার সহকারী লোকোমাস্টার (ড্রাইভার) এএলএম মাহমুদ হাসান মিশুক বলেন, মাইলেজ বন্ধের প্রতিবাদে রেলওয়ে রানিং স্টাফ সংগ্রাম পরিষদের সান্তাহার আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে স্টেশনে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। তাছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত কালো আদেশের খ ও গ ধারা বাতিলের দাবিতে কর্ম বিরতিসহ সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সান্তাহারে কর্তব্যরত টিটিই রবিউল ইসলাম জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জটিলতা নিরসন করা না হলে সেদিন থেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবেন।

টিটিইদের এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান জানান, ট্রেনে আটঘণ্টার বেশি দায়িত্ব পালনের জন্য ট্রেনের লোকোমাস্টার, গার্ড, ড্রাইভার ও টিটিইরা আগে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা পেতেন, যা রেলওয়ের ভাষায় মাইলেজ। সম্প্রতি রাষ্ট্রের বেসামরিক কর্মীদের মূল বেতনের অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার বিধান নেই উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে রেলের রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা বাতিল করা হয়। এখন এই মাইলেজ সুবিধা চালুর জন্যই আন্দোলন করা হচ্ছে।

সান্তাহার জংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম জানান, আন্দোলনের কারণে লোকবল না থাকায় দু’টি তেলবাহী ও দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেন সান্তাহার স্টেশনে বন্ধ রয়েছে। ট্রেনগুলো কবে ছাড়া হবে তা নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সান্তাহার স্টেশন,ছাড়েনি ট্রেন,যাত্রীদের দুর্ভোগ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close