গাজী মো: শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ
শেখ হাসিনাকে স্যালুট
ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বীর মুক্তিযোদ্ধা
৭১ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এ দেশের দামাল ছেলেরা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ছিনিয়ে আনেন তাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা । সেই রক্তস্নাত বাংলার মাটিতে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধাই যেন অসচ্ছলভাবে জীবনযাপন না করেন সেজন্য জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই সব মুক্তিযোদ্ধার ভাতাও বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে প্রতিটি উপজেলায় ১২টি “বীর নিবাস”- মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ১১টি গৃহায়নের কাজ চলমান রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে প্রকাশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা জানান, প্রতি ঘরের জন্য নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা। কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
ঘরপ্রাপ্ত চকসাহবাজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাহার আলী জানান, ভাতা শুরুর প্রারম্ভে ৩শ টাকা, বতর্মান ক্ষমতাশীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকা করেছেন। তাছাড়াও ঈদসহ বিশেষ বিশেষ দিনে বোনাসেরও ব্যবস্থা করেছেন। আমি একজন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা। জীবনে কল্পনাও করতে পারিনাই আমি ও আমার পরিবার পাকা ঘরে বসবাস করব। এ জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাই স্যালুট ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। বর্তমান সরকারের এই পদক্ষেপ আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়।
ঘরপ্রাপ্ত অপর এক বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান জানান, আমার নিজস্ব বাড়িঘর না থাকাতে শ্বশুরালয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। আজ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিজের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা যে করেছেন সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাই শ্রদ্ধাপূর্ণ সালাম।
কামারখন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিউল রহমান জোয়ারদ্দার জানান, নির্মাণকাজ সিডিউল মোতাবেক হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ এখনও আমরা পাইনি। আমরা নিয়মিত নির্মাণকাজ পরিদর্শন করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা জানান, সরকারের এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। দীর্ঘ দিন পরে হলেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে এই বীর নিবাসে।
তিনি আরও জানান, বাড়ি নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ঘর নির্মাণের অনেক কাজই মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি করা হবে। আগামী ২ মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।