reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ জানুয়ারি, ২০২২

কুমার নদে বিলীন হলো ১০ বসত বাড়ি

ফরিদপুরের কুমার নদ পুনঃখননের পর থেকেই পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে জেলার নগরকান্দায় কমপক্ষে ১০টি বসতবাড়ি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নগরকান্দা সরকারি এমএন অ্যাকাডেমি ভবন, থানা ভবন ও কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরসহ পৌর বাজার।

জানা গেছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার কুমার নদের পুনঃখননের কাজ করছে বেঙ্গল গ্রুপ। নদটি পুনঃখননের ফলে পাড়ের কিছু এলাকায় ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে পৌর এলাকার গাংজগদিয়া গ্রামের গঙ্গা মন্দিরসহ সাত-আটটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। প্রায় ৫০ মিটার দূরত্ব এলাকা নিয়ে ধসে পড়েছে নদের পাড়। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে উপজেলার পাঁচকাইচাইল এলাকার আশরাফ মাতুব্বর ও সেলিম ব্যাপারীর বসতবাড়ি ভেঙে নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়াও নগরকান্দা এলাকায় দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাটল। যা প্রায় ছয়-সাত ফুট দেবে গেছে। এই এলাকার নদের পাড়ের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত উজ্জ্বল মালো বলেন, ‘কয়েকদিন হলো নদের পাড়ে ফাটল দেখা গিয়েছিল। সোমবার রাতে শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, আমার পাশের ঘর ভেঙে নদে পড়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে আসি। এ সময় আমার ঘরটিও ভেঙে পড়ে।’

খবর পেয়ে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলেও জানা গেছে।

এলাকাবাসীর কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, নদটি খননের নামে অবৈধ বালু ব্যবসা করা হচ্ছে। ফলে গভীর করে বালু তোলার কারণেই নদটির পাড় ভেঙে পড়ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, ‘নদের পাড়ে ফাটল হওয়ায় আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। জেলা সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পাড় রক্ষার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরেজমিনে লোক পাঠিয়েছি। সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাকা,ফরিদপুর,নদী ভাঙন,নদী,কুমার নদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close