তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২২

নির্বাচন এলেই মেলে ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ধামাইচ বাজার গুমানী নদীর ওপর ব্রিজ নেই। একটি ব্রিজের অভাবে যুগ যুগ ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নদীর তিন পারের বিভিন্ন গ্রামের লক্ষাধিক বাসিন্দা। বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই নদী পরাপারের একমাত্র ভরসা।

সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের বাসিন্দা ডাঃ হাসিনুর রহমান (৫৫) বলেন, প্রতিবার নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এই ঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পান তারা। কিন্তু নির্বাচনে জয়ের পর প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয় না।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অনেক আগে গুমানী নদীতে সারা বছরই পানির প্রবাহ থাকত। তখন সারা বছরই নৌকায় করে নদ পারাপার হতে হতো। প্রায় ৩০ বছর ধরে স্থানীয় লোকজন শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় নদী পারাপার হন। প্রতিদিন এ পথে নদীর পূর্ব পারের সবুজপাড়া, বিন্নাবাড়ী, নওখাদা ও নদীন পশ্চিম পারের হেমনগর, কাঁটাবাড়ী, দবীরগঞ্জ, বাহাদুরপাড়া সহ প্রায় ৪০ গ্রামের বাসিন্দারা চলাচল করেন। সাঁকোটির পাশেই ধামাইচ বাজার। এই বাজারেই পারেই বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা ও ক্লিনিক রয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, ধামাইচ বাজার খেয়াঘাটে প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মিত হলেই নদী পারাপারে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুসহ এলাকার মানুষের আর ভোগান্তি থাকবে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৮০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোটির দুই পাশে রেলিং নেই। হেঁটে, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল নিয়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় লোকজন।

নওখাদা গ্রামের বাসিন্দা ও ধামাইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মায়া বলেন, নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। সময় মতো স্কুলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।

স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মুকুল হোসেন মোল্লা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ধামাইচ বাজার খেয়াঘাটে ব্রীজ না হওয়া বেদনাদায়।

এ প্রসঙ্গে সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, তিনি এই ইউনিয়নে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সর্বাত্বক চেষ্ঠা করবেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close