গাজীপুর প্রতিনিধি

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২২

বারি তৈলবীজ ফসলের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন

চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদনের পরিমাণ অনেক কম। কারণ দেশে ভোজ্য তেলের আবাদী জমির পরিমাণ খুবই কম এবং বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর এই জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে আমাদের প্রতি বছর প্রায় ২০-২২ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের তৈলবীজ ফসলের ৫০ ধরনের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন।

বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার রবিবার (১৬ জানুয়ারি) বারিতে অনুষ্ঠিত তৈলবীজ গবেষণা কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।

ড. দেবাশীষ সরকার আরো বলেন, আমরা যদি এসব উচ্চফলনশীল জাত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে দেশে ভোজ্যতেলের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে এবং আমদানির পরিমাণ কমে যাবে। পাশাপাশি আমাদের হাওর, লবণাক্ত এলাকা ও চর এলাকায় তেল, ডাল ও সবজি ফসলের চাষাবাদ বাড়াতে হবে।

বারির পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. আব্দুল লতিফ আকন্দের সভাপতিত্বে ইনস্টিটিউটের তৈলবীজ গবেষণা মাঠে অনুষ্ঠিত ওই মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, সাবেক পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. রীনা রানী সাহা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. ফেরদৌসী বেগম।

পরে অতিথিবৃন্দ বারির তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা মাঠে বিভিন্ন ধরণের গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে বারির বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উচ্চফলনশীল জাত,বারি তৈলবীজ,ফসল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close