টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

টঙ্গীতে কারখানায় ব্যবহার করছে সিলিন্ডার গ্যাস!

টঙ্গীতে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় শত শত ওয়াশিং ও ডাইংসহ বিভিন্ন কারখানা। আর এসব কারখানায় বিপদজনকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস। যত্রতত্র ভ্যানে করে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব সিলিন্ডার। সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে ঝুঁকি নিয়ে সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে প্রতিদিন।

তিতাস গ্যাস সংযোগ না পেয়ে এভাবেই সিলিন্ডারে গ্যাস নিয়ে কারখানা কিংবা প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিকভাবে এ গ্যাস ব্যবহার করছে যা বেআইন। এ বিষয়ে প্রশাসনের অভিযান না থাকায় দিন দিন বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এভাবে গ্যাস সরবরাহ করায় কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গীতে ওয়াশিং ও ডাইংসহ বিভিন্ন কারখানায় অবৈধভাবে ব্যবহার করছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার। এর মধ্যে দত্তপাড়া, আউচপাড়া, দেওড়া, গাজীপুরা, মুদাফা, বড়বাড়ী শিলমুন, মরকুন, পাগাড়, বিসিক ও পুবাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় কারখানার আশপাশ ঘিরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এসব সিলিন্ডার রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টঙ্গীর বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রি শুরু হয়েছে। রিকশাভ্যান, অটোভ্যান, লেগুনা, কাভার্ড ভ্যানে কয়েকটি করে সিলিন্ডার রেখে সেগুলো ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে দেখলে সহজে বোঝা যায় না। এসব যানে করে সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কারখানা মালিকরা একদিকে চোরাই লাইনে গ্যাস ব্যবহার করছেন, অপরদিকে বিপজ্জনকভাবে সিলিন্ডার কারখানার সামনে রেখে মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে।

হোসেন মার্কেট এলাকায় সিলিন্ডারে গ্যাস নিয়ে যাওয়ার সময় শওকত আলী জানান, মুদফা এলাকায় একটি পোষাক কারখানা থেকে এসেছি। নিয়মিত ৩টি লিসিন্ডারে গ্যাস নিয়ে যাই। কারখানার মালিকের নির্দেশে এভাবে গ্যাস নিয়ে যাচ্ছি।

আলম সিএনজি পাম্পের ম্যানেজার রুস্তম আলী জানান, সন্ধা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিলিন্ডার গ্যাস দেওয়া বন্ধ। এই সময়ের মধ্যে সিলিন্ডারে গ্যাস দেওয়া বন্ধ। যদি সিলিন্ডারের চাবি ভালোভাবে বন্ধ রাখে তাহলে ভয়ের কোন কারণ নেই।

এসব কারখানার মালিকরা জানান, তিতাস গ্যাসের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কবে পাওয়া যাবে তা বলা যাচ্ছেনা। কারখানা চালু রাখতে হবে। তাই সিলিন্ডার করে গ্যাস সরবরাহ করে কারখানা চালু রাখা হচ্ছে। তিতাসের লাইন পেলে সিলিন্ডার গ্যাসের প্রয়োজন হবেন।

তিতাস গ্যাসের টঙ্গী জোনের ম্যানেজার মো. এরশাদ বলেন, সিলিন্ডারে গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টি বিস্ফোরক অধিদফতর কর্তৃপক্ষ দেখবে। আমরা অবৈধভাবে কেউ গ্যাস ব্যবহার করলে সেটা দেখব। তবে কারখানার সামনে কিংবা মোড়ে যেখানে সেখানে রেখে ব্যবহার না করে নিরাপদে রাখা উচিত।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
টঙ্গী,গাজীপুর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close