উওম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)

  ১৪ জানুয়ারি, ২০২২

শেখ হাসিনা ধরলা সেতু সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৩২ ফুট প্রস্থ দ্বিতীয় শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাভানা কন্সট্রাকশন। সিতুটির কাজে ব্যায় হয়েছে ১৯৬ কোটি, ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

সেতুর বিদ্যুতায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ লাখ ৪ হাজার ২১০ টাকা। ২০১৮ সালের ৩ জুন দ্বিতীয় শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের কিছু দিন যেতে না যেতেই অর্ধেক বাতি বন্ধ হয়ে পড়ে।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৮০ হাজার টাকায় ব্যয় করে বাতিগুলো সংস্কার করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।বর্তমানে সেতুর পশ্চিম পাশে ৩০ ফুট চওড়া ২১টি ও পূর্ব পাশে ২০টি স্টিলের পিলারে ৫টি মিটমিট করে জ্বলছে, নিম্নমানের তার লাগানোয় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক কিলোমিটার সেতুর ওপর পর্যাপ্ত আলো না থাকায় কষ্ট করে পারাপার হতে হচ্ছে যানবাহনসহ পথচারী ও সাধারন মানুষদের।

সন্ধ্যা ও রাতে পাশের জেলা লালমনিরহাট ও বিভাগীয় শহর রংপুর থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসা যাওয়া করতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যানবাহন চালক ও ব্যবসায়ীরা। সেতুটিতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় রাতে অন্ধ্যকারে দুর্বৃত্তদের আনাগোনা বাড়ছে।

সেতুটি খুলে দেয়ার পর থেকে দর্শনার্থীরা বিনোদনের স্থান করে নিয়েছেন বিকেল হলে বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ ভীড় জমাতো ফুলবাড়ীবাসীর স্বপ্নের ধরলা সেতুটির দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য। বিশেষ করে বাতিগুলো বন্ধ থাকায় যানবাহন চালক, এলাকাবাসী, পথচারী,ব্যাবসয়ী মহল ও দর্শনার্থীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান, অতিদ্রুত বাতিগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হোক।

অটো ভ্যান চালক, লোকমান ও কলিম উদ্দিন জানান, সন্ধ্যাবেলায় ব্রিজের উপরে বাতিগুলো নষ্ট থাকায় আমাদের চলাফেরা কষ্ট হয়ে যায়,দ্রুত বাতিগুলো ভালো করলে আমাদের মালামাল আনা নেওয়ার অনেক সুবিধা হতো,

ফুলবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী রহিমুদ্দিন ও সাদেকুর রহমান জানান, রংপুর ও লালমনিরহাট থেকে আমাদের প্রতি দিনই মালামাল নিয়ে সব সময় আসতে হয় রাতে বাতিগুলো বন্ধ থাকায় মনে শঙ্কা জাগে ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে, তাই বাতিগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

উপজেলা প্রকৌশলী আসিব ইকবাল রাজীব জানান, শেখ হাসিনা ধরলা সেতু অ্যাপ্রোজ রোডটি এলজিডি থেকে উন্নয়ন করা হলেও রাস্তাটি এখন পর্যন্ত গেজেট না হওয়ায় মেনটেনেন্স করা সম্ভব হয়নি, গেজেটভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, গেজেটভুক্ত হলে মেনটেনেন্স থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেলে আমরা লাইন গুলো দ্রুত ঠিক করে দেব।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফুলবাড়ী,কুড়িগ্রাম
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close