চলমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জারি করা বিধি-নিষেধ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হচ্ছে। এ বিধি-নিষেধে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করে বিএনপি।

দলটির নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ করা অগ্রহণযোগ্য। ইস্যুটি স্পর্শকাতর হওয়ায় আবারও বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বৈঠক করে দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা। বৈঠকে নওগাঁর বৃহস্পতিবারের পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে আগামীতে সমাবেশের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে বিএনপির সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকের পর ওই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, দেশব্যাপী ওমিক্রন এর সংক্রমণের কারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে নওগাঁ জেলা বিএনপি ঘোষিত সমাবেশটি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময় ও তারিখ শুক্রবার নির্ধারণ করা হবে। এ বিধি-নিষেধে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনীতি রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানান, নওগাঁ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে প্রথম দফায় ২৮ জেলায় সমাবেশ করে বিএনপি। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৩৯ সাংগঠনিক জেলায় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম দক্ষিণে সমাবেশ করে দলটি। বাকি জেলার ব্যাপারে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর সকালে একই স্থানে একইসময় বিএনপি, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সভা আহ্বায়ন করায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় নওগাঁ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। যার কারণে তখন সমাবেশ করতে পারেনি দলটি।