আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১২ জানুয়ারি, ২০২২

স্বামী রেখে বিবাহিত হিন্দু যুবকের সঙ্গে পালালেন গৃহবধূ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

বরগুনার আমতলীতে বিয়ের ১৪ বছর পর পরকীয়ায় জড়িয়ে দুই সন্তান রেখে লক্ষাধিক টাকার মালামালসহ বেসরকারি সংস্থা আশা’য় কর্মরত এক হিন্দু যুবকের সঙ্গে পালিয়েছেন এক মুসলিম রমণী। এ ঘটনায় স্ত্রী কুলসুম আক্তার (৩১) ও তার প্রেমিক শ্রী বিকাশ মজুমদারের (৩৬) বিরুদ্ধে চুরি ও ব্যভিচারের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্বামী গোলাম আজম সোহেল।

গত ২৮ নভেম্বর আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এ বাদী হয়ে স্বামী গোলাম আজম ওই মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ ও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা গোলাম আজম সোহেল ১৪ বছর আগে পার্শ্ববর্তী বরগুনা সদর থানার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী এলাকার মো. চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান রয়েছে।

অন্যদিকে মামলার ২ নং আসামি প্রেমিক বিকাশ মজুমদারের স্ত্রীসহ ১ সন্তান রয়েছে। মামলার বাদী গোলাম আজম সোহেল জানান, আমার স্ত্রী ও মামলার ২ নং আসামি বিকাশ মজুমদার বেসরকারি সংস্থা আশায় একই অফিসে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করত। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিকাশ মজুমদার তার স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং শারীরিক মেলামেশা শুরু করে। বিষয়টি জানার পর স্ত্রীকে একাধিকবার সতর্ক করলেও শোনেনি।

এদিকে, গত ৭ অক্টোবর স্বামী গোলাম আজম সোহেল বাড়ির বাইরে থাকার সুবাদে প্রেমিক বিকাশ মজুমদারকে ঘরে ডেকে আনে ওই নারী। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপের পর নগদ ১ লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ও সমমূল্যের স্বর্ণালঙ্কার সহ সর্বমোট দুই লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় ওই নারী ও তার কথিত প্রেমিক বিকাশ মজুমদার। পরে গত ২৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী গোলাম আজম সোহেল আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ ৪৯৮/৩৮০/১০৯ ধরায় মামলা দায়ের করেন।

সরেজমিনে পাথরঘাটা পৌর এলাকায় বিকাশ মজুমদারের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে তার পরিবারের কেউ রাজি হননি।

স্ত্রী কুলসুম আক্তার বলেন, আমি আমার স্বামী গোলাম আজমকে ডিভোর্স দিয়েছি। মামলার বাদী গোলাম আজম বলেন, আমি যখন বিয়ে করেছি তখন আমার স্ত্রী কুলছুম এইচ এসসি পাস। আমি আমার অর্থ দিয়ে তাকে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করিয়ে আশা এনজিওতে চাকরি পাইয়ে দিয়েছি। চাকরিকালীন যে জামানত দিতে হয় সে টাকাও আমি দিয়েছি। বরগুনা সদর শাখায় চাকরিকালীন অফিসের সহকারী ম্যানেজার বিকাশ মজুমদারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এঘটনা জানার পর স্ত্রী কুলসুমকে একাধিকবার সতর্ক করেছি। সন্তানদুটির মুখের দিকে চেয়ে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে অন্য ধর্মাবলম্বী বিকাশ মজুমদারের সঙ্গে পরকীয়া চালিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।

গোলাম আজমের দায়েরকরা মামলার আইনজীবি অ্যাড. এম এ কাদের মিয়া বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন, আশা করছি বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পাবেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আমতলী,বরগুনা,আশা,মুসলিম রমণী,পরকীয়া
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close