খানসামায় গৃহবধূর আত্মহত্যা, মিললো চিরকুট
দিনাজপুরের খানসামার গৃহবধু জুঁই রায়ের হাতের লেখা চিরকুটেই ফুটে ওঠেছে তার কষ্ট, ক্ষোভ ও অভিমান। ‘আত্মহত্যা’র আগে স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে চিরকুট লিখে গেছেন এভাবে-
‘বাবা-মা সবাই ভালো থাকো। মোর শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী, ননদ, ননদীয়া সবাই ভালো থাকো। মুই মরি গেইলে আরও বিয়াও করিস, সুখে থাকিস, ভালো থাকিস। তোর জীবনে মুই আর কাঁটা হয়া থাকিবার চাই না। মোর আর কোনো ইচ্ছা নাই। তোর জীবন থাকি মুই যদি চলি যাই, তাহলে তোর পছন্দ মতো মেয়েকে বিয়ে করিস।’
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের রামনগরে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে। জুঁই কমল রায়ের মেয়ে ও ভাবকী গ্রামের শওরোতলী এলাকার জীবন রায়ের স্ত্রী।
জানা যায়, দেড় বছর আগে পরিবারিকভাবে জুঁই রায় ও জীবন রায়ের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর পারিবারিক ঝামেলায় বাবার বাড়ি চলে যান জুঁই। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও দুইজনের সমস্যার সুরাহা হয়নি।
সবশেষ ক্ষোভ ও অভিমানে মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে বিষপান করেন বলে দাবি পরিবারের। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সয়ে নেওয়া হয়। সেখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল তাকে মৃত ঘোষণা করনে।
স্বামীর উদ্দেশে জুঁই রায় চিরকুটে লিখেন, ‘তোর কাছো তো মোর কোনো দাম নাই। সবাইকে নিয়ে সুখে থাকিস। সবার চোখের কাঁটা হচ্ছি, তাই মোর বাঁচি থাকার কোনো ইচ্ছা নাই। সবাই সুখে থাকেন, ভালো থাকো।
চিরকুটের শেষ লাইনে জুঁই রায় তার স্বামী জীবনকে লিখেন, ‘জীবন ভালো থাকিস।’ এরপর বেশ কয়েকবার ‘জীবন’ শব্দটি লিখেন।