রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

  ১১ জানুয়ারি, ২০২২

রাজাপুরে আ’লীগ নেতাকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

এক নারীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম লিটনকে (সিআইপি) দলীয় পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সারে ১২টার দিকে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে উপজেলা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত আবেদন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

গত বুধবার উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদকদের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রটি জেলায় পাঠানো হয়। এর অনুলিপি দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকেও। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা জয়রাম তেওয়ারী, যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, আবু সালেহ্ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় নিজেস্ব কেউ একটি ভিডিওটি ধারণ করে পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওটি সর্বত্র ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে দলীয় গঠণতন্ত্র ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই শাস্তি সরূপ লিটনকে দল থেকে আজীবন বহিস্কার করা প্রয়োজন।

মো. রফিকুল ইসলাম লিটন উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নয় নম্বর সহসভাপতি পদে রয়েছেন তিনি।

এদিকে লিটনকে বহিস্কারের জন্য করা আবেদন থেকে জানা যায়, লিটন উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে থেকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। এ ছাড়াও সরকারের সিআইপি পদকপ্রাপ্ত একজন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এমনটা আশা করা যায় না। তাই পরবর্তীতে কেউ যেন এমন অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত না হয় তার জন্য লিটনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয় নেতারা।

এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। করো অপকর্মের দায়ভার দল নেবে না।

ঝালাকঠি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুণ কর্মকার বলেন, রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হয়ে তিনি যে কাজটি করেছেন, এর দায়ভার দল নেবে না। এ ব্যাপারে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাজাপুর,ঝালকাঠি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close