যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হচ্ছেন-দৌলতপুরের সিদ্দিক সরদার (৬৫), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬০), ছেলে শাওন সরদার (২০), আমিনুর রহমানের স্ত্রী রেখা খাতুন (৩৫), তার ছেলে রাসেল হোসেন (২৪), বেনাপোল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরদারের ছেলে বজলুর রহমান (৫৫), আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রুমা খাতুন (৩৫), তার বোন রিমা খাতুন (৩০), মা রেহেনা বেগম (৫৫), গাতিপাড়া গ্রামের মালেকের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে আরফিনা খাতুন (২০)।

আহত সিদ্দিক সরদার জানান, দৌলতপুরের সাহেব আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম ডিনার ও গাতিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে অনিক মাদক সম্রাট। তারা প্রতিরাতে ভারত থেকে ফেনসিডিলের চালান আনেন। আমার বাড়ির সামনে লাইট পোস্ট থাকায় ওই মাদক ব্যবসায়ীদের ফেনসিডিলের চালান আনতে অসুবিধা হয়। এ কারণে আরিফুল পিলারে থাকা পল্লী বিদ্যুতের মিটার ও লাইট ভেঙে দিয়ে সেখানে অন্ধকার করে ফেলে। এর প্রতিবাদ করায় মাদক ব্যবসায়ীরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

তিনি জানান, রবিবার রাত ৭টার দিকে বাড়িতে বসেছিলাম। এ সময় আরিফুল, অনিক ও তাদের সহযোগী মামুন ধারালো অস্ত্র, রড, জিআই পাইপ নিয়ে বাড়িতে হামলা চালান এবং আমাকে কোপান। এ সময় হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্য বাড়ির সকলে এগিয়ে আসেন। তখন মাদক ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান, শাওন হোসেন, রাসেল হোসেন, আলেয়া বেগম ও রেখা খাতুনকে বেদম মারধর করেন ও কোপান।

আরিফুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে কে বা করা মিটার ভাঙচুর করেছে। এই ভাঙচুর এর ঘটনাটি তারা আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে আমার বাড়ি এসে ঘরের জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে রেখা। এ সময় রেখার সাথে ছিল সামাউল, আমিনুর, রাছেলসহ আরও অনেকে।

তিনি বলেন, আমি এসময় বাড়ি ছিলাম না। আমার পরিবারকে মারধর করার সময় গাতিপাড়া গ্রামের রাবেয়া ও তার মেয়ে আরফিনা বাধা দিলে তাদেরও মারধর করেন। আরফিনাকে কুপিয়ে আহত করেন।

দৌলতপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদুর রহমান বলেন, রেখার বাড়ির একটি মিটার ভাঙাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে রাতের আঁধারে কে বা কারা ওই মিটার ভেঙেছে তা কেউ জানে না। এছাড়া রেখার পরিবার স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার না দিয়ে আরিফুলের বাড়ি ভাঙচুর ও তার পরিবারসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে শুনেছি।

বেনাপোল পোর্ট থানার এএসআই মাসুম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।