নেত্রকোনার মদনে একটি পারিবারিক কলহ মিমাংসাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুছকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সানোয়ার গালমন্দ করায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

সোমবার সকালে আ’লীগের সভাপতির লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পৌরসদরের দিকে অগ্রসর হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি উম্মে সালমা, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান এখলাছ, ওসি ফেরদৌস আলমসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।

জানা যায়, উপজেলার চানগাও ইউনিয়নের শাহাপুর পশ্চিম পাড়া ধনাই মিয়ার সাথে একই গ্রামের আলী আকবরের স্ত্রীর ঝগড়া বাধে। এতে আলী আকবরের স্ত্রী মদন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি আ’লীগ সভাপতির বাড়ির পাশে হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এন আলমকে নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির করার উদ্যোগ নেন। এতে যুবলীগ সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার রাতে পৌর সদরের লোকামান মার্কেটে প্রকাশ্যে আ’লীগ সভাপতিকে গালমন্দ করেন। এরপরই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সানোয়ার জানান, যে মহিলাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে তাকে আমি মূলত চিনি না। মারপিট খেয়ে হাসপাতালে আসলে সঠিক চিকিৎসা ও ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য বলি। তবে সামনে ইউপি নির্বাচন করব আমি। যাতে নৌকার টিকিট না পাই তার জন্য পরিকল্পিতভাবে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও বিএনপির সাবেক উপজেলা সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এন আলম এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমি মূলত এ নিয়ে সভাপতিকে কোন গালমন্দ করিনি।

উপজেলা আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুছ বলেন, পারিবারিক এ কলহটি মিমাংসা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে উদ্যোগ নেই । যুবলীগ সভাপতি এই কথা শুনেই রবিবার রাতে পৌর সদরের লোকমান মার্কেটে আমাকে গাল মন্দ করলে এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে। আমি বার বার এদেরকে শান্ত থাকার কথা বলেছি।

মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে যুবলীগ সভাপতি গালমন্দ করায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে। তবে উভয় পক্ষই এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে শাহপুর পশ্চিম পাড়ার আলী আকবরের স্ত্রী থানায় একটি মারপিটের মামলা করেছে।