টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়েনের পণ্ডিতকাছড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩০) স্ত্রীকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজেই পুলিশকে খবর দেন।

শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আমিনুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেড়বছর আগে উপজেলার মমরেজ গলগণ্ডা গ্রামের মুন্নাফ মিয়ার মেয়ে মিনারা বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন অটোরিকশা চালক আমিনুল। বিয়ের পরপরই তার বাবা মায়ের সঙ্গে ঝগড়া লাগে স্ত্রীর। কিছুদিন আগে একমাত্র ছেলে এবং ছেলের বউকে পৃথক খেতে বলেন আমিনুলের বাবা-মা। ঘটনার দিন দুপুরে গাছের শুকনো পাতা (জ্বালানি) নিয়ে বউ শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া বাধে। ওইদিন দুপুর থেকে না খেয়ে থাকেন আমিনুলের বাবা-মা। সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে আমিনুল বাড়ি ফিরলে ঝগড়ার বিষয়টি তার মা তাকে জানান। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।

পুলিশের কাছে আমিনুলের দেওয়া তথ্যমতে কথা কাটাকাটির একপর্যায় মিনারা আমিনুলের মাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন। আমিনুল তা সহ্য করতে না পেরে গলাটিপে হত্যা করে থানায় ফোন দেন। আমিনুল আগেও দুটি বিয়ে করেছিলেন। পারিবারিক কলহের কারণে সেই দুই স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, আমিনুল এলাকার একজন ভদ্র ছেলে। সে কোরআনের হাফেজ। পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায়ও তিনি মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়ি যান।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে থানায় ফোন করেন আমিনুল। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির পরিবেশ স্বাভাবিক। কেউ বুঝতেই পারেনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি।

তিনি বলেন, আমিনুল ঘরে দরজা দিয়ে বসেছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিচয় দিলে তিনি দরজা খুলেন এবং আত্মসমর্পণ করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মুন্নাফ মিয়া বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।