ঢাকার ধামরাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাঞ্চল্যকর নছর উদ্দিন হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল।

রবিবার (২১নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।

শনিবার (২০নভেম্বর) রাতে মানিকগঞ্জের সিংগাইরয়ের পৌরসভা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- ঢাকার ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউনিয়নে মো. গোলাম মোস্তফা(৩৯), মো. রাশেদ মোল্লা (৩৮) ও মো. নাঈম হোসেন মোল্লা (১৯)।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মো. মিজানুরের কর্মী দেলোয়ার হোসেনের সাথে মেম্বার প্রার্থী গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্য আসামিদের সাথে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শক্রতার ও বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ১১ নভেম্বর নির্বাচনের দিন নির্বাচন শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নছর উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ারসহ আরও কয়েকজন নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় কুরুঙ্গী মসজিদের পাশের রাস্তায় আসামীরা তাদের অন্যান্য সহযোগীসহ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাঁশের লাঠি, লোহার রড়, দা ছ্যান, রামদা চাপাতীসহ মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার গতিরোধ করে অতর্কিত আক্রমণ করে।

আসামিদের আক্রমণের এক পর্যায়ে চিৎকার শুনে ভিকটিম নছর উদ্দিন মোল্লা ঘটনাস্থলে আসলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নছর উদ্দিনের বুকের মধ্যে স্বজোরে লাথি মারে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।

পরবর্তীতে নছর উদ্দিনের ছেলে বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার পরপরই আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে র‌্যাব-৪।

র‌্যাব আরও জানায়, এই হত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামি মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যা রাতে সিংগাইর পৌরসভা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই মামলার এজাহার নামীয় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৪,সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারা হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।

বিবাদীরে সাথে আসামিদের পূর্বের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হত্যা সংঘঠিত হয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারদের ধামরাই থানায় হন্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান চলমান।