চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নিখোঁজের ১৮ দিন পর এক সাংবাদিকেপুত্রের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরশাক গ্রামের ইসমাইল মিয়াজী বাড়ি ও ইব্রাহিম মিয়াজী বাড়ির মাঝের একটি ডোবা থেকে মো. রিমন হোসেন জনি (১৮) নামের সাংবাদিকপুত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ রিমনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে গত ২ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ সে। রিমন শোরসাক গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে এবং সে সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের শাহরাস্তি উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় সংবাদপত্রে কর্মরত এবং শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সদস্য।

জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রিমন। এরপর থেকে তার সন্ধান না পাওয়ায় ও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় গত ১৮ নভেম্বর শাহরাস্তি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি (নং ৮১০) করেন সাংবাদিক বাবা জসিম উদ্দিন। ২০ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে দুপুরে ২ জন শ্রমিক মাঠে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিত্যক্ত ডোবায় ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দেয়।

এ সময় স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন, কিন্তু দেহ গলে যাওয়ায় মরদেহের চেহারা বুঝা যায়নি। পরে তার পরিহিত জামা এবং প্যান্টের পকেটে ম্যানি ব্যাগে থাকা মায়ের ছবি ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন দেখে ছেলে রিমনের মরদেহ শনাক্ত করেন জসিম উদ্দিন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক জসীম উদ্দিন জানান, গত ২ নভেম্বর রিমন নিখোঁজের পর থেকে নিকটাত্মীয়-স্বজন ও তার বন্ধু-বান্ধবের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েছি, কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে ১৮ নভেম্বর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করি। এসময় তিনি বলেন, আমার কোনো শত্রু নেই।

শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মান্নান সংবাদকর্মীদের বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।