মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৪ নভেম্বর, ২০২১

‘হত্যার ২ মাস পর টুনির মরদেহ পেলাম, বিচার পাবো কি?’

পরিবারের অভাব অনটন ঘুচানোর জন্য ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে রেখে দালাললের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন টুনি বেগম। কিন্তু পরিবারের অভাব অনটন ঘুচানোতো দূরের কথা অবশেষে পাশবিক নির্যাতনের শিকার টুনি মরদেহ হয়ে দেশে ফিরলেন।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মরদেহ গ্রহণ করে টুনির পরিবার। রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে।

টুনি উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের মেয়ে।

টুনির পরিবার জানায়, সৌদি প্রবাসী উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের হেলাল মিয়া এবং উপজেলার জালুয়াবাদ গ্রামের নুর মিয়া ও ময়মনসিংহ জেলার গফুরগাঁও গ্রামের কামরুল মিয়া টুনিকে পাশবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।

টুনির ভাই হান্নান মিয়া জানান, পার্শ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার ভাগদিয়া গ্রামের হাছান মিয়া ও দুলাল মিয়ার মাধ্যমে এ বছরের ১৮ মার্চ তিন লাখ টাকার বিনিময়ে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন টুনি। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর টুনির ওপর পাশবিক নির্যাতন শুরু হয়। টুনির সঙ্গে থাকা সৌদি প্রবাসী এক নারী গত ১২ সেপ্টেম্বর ফোন করে জানান টুনিকে হত্যা করা হয়েছে।

টুনির বোন সায়েরা বেগম জানান, হত্যার ২ মাস পর পরে অনেক ঘুরাঘুরি করে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সৌদি আরব থেকে শনিবার রাতে টুনির মরদেহ পেয়েছি। মরদেহ ফেরত পেলেও টুনি হত্যার বিচার পাব কিনা এ নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি।

তিনি জানান, সরকারের নিকট আমাদের দাবি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টুনি হত্যার প্রকৃত অপরাধীদের যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়।

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, টুনি বেগমের মরদেহ রবিবার দুপুরে রাজেন্দ্রপুর পারিবারিক করবস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাস্থল যেহেতু সৌদি আরব অতএব সে দেশের সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মরদেহ,টুনি হত্যা,সৌদি,সৌদি প্রবাসী,হবিগঞ্জ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close