ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ২৪ অক্টোবর, ২০২১

বিয়ে না করায় প্রেমিকের জিহ্বা কাটল প্রেমিকা!

প্রতীকী ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ে না করায় প্রেমিকের জিহ্বা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রেমিকা শারমিন আক্তারসহ চারজনকে আটক করেছে ধামরাই থানা-পুলিশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ধামরাই উপজেলার ফড়িঙ্গা গ্রামে প্রেমিকা শারমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাইফুল ফড়িঙ্গা গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।

তবে ঘটনার মোড় ঘোরাতে প্রেমিক সাইফুল ইসলামের বাবা বাদী হয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় জিহ্বা কেটেছে বলে মামলা করেছেন। তবে আহত সাইফুল বর্তমানে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন প্রেমিক শারমিন আক্তার, তার বাবা শফিকুল ইসলাম, মা পানকা বেগম ও ভাই মো. ফারুক হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে শারমিন আক্তারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তবে বিয়ে না করে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে প্রেমিকা শারমিন ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশলে সাইফুলকে ডেকে আনেন। এরপর পরিবারের সহযোগিতায় সাইফুলের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে জিহ্বা কেটে ফেলেন সাইফুরের। তবে সাইফুলের বাবা ঘটনার মোড় ঘোরাতে পাওয়ানা টাকা চাওয়ায় ছেলের ওপর নির্যাতন করে তার জিহ্বা কেটে নিয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সাইফুর রহমানের কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই আসামি শফিকুল ইসলাম টাকা ধার নিতেন। আবার তা পরিশোধও করতেন। বর্তমানে শফিকুলের কাছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা পাওনা আছেন। টাকা পরিশোধ না করে এত দিন তালবাহানা করে আসছিলেন তিনি।

গত ২২ অক্টোবর বিকেলে ফরিঙ্গা বাজারে সাইফুলের সঙ্গে শফিকুলের পাওনা টাকা নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে ওই দিন রাতেই পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী সাইফুরকে শফিকুল তার বাড়িতে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। পরে টাকা না দিয়ে শফিকুলসহ তার পরিবার সাইফুরের ওপর অমানসিক নির্যাতন চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন জাগায় জখম করে।

এর একপর্যায়ে সবাই মেঝেতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বুকে পা দিয়ে জিহ্বা টেনে বের করে এর সামনের অংশ কেটে নেয় শফিকুল। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় সাহা জানান, এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২-৩ জনকে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর বাবা রহমত আলী। মামলার পর শনিবার রাতেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ৫ নম্বর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তবে ঘটনাটি প্রেম-সংক্রান্ত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার তদন্তে এ রকম কোনো তথ্য আমি পাইনি। প্রাথমিক তদন্তে টাকার বিষয়টিই উঠে এসেছে।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাকা,ধামরাই
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close