এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
স্বামীর বাড়িতে স্থান পাচ্ছেন না ধর্মান্তরিত গর্ভবতী স্ত্রী
প্রেম, ধর্ম গ্রহণ অতপর বিয়ে। ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন সংসার করেও স্বামীর নিজ বাড়িতে স্থান মিলছে না গর্ভবতী স্ত্রী'র। জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হলেও ফল পাচ্ছেনা লালিতা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দাফাদার পাড়া এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে সাজুর সাথে ঢাকায় এক প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় সাভার এলাকার কৃষ্ণ সাহার মেয়ে লালিতা সাহার সাথে।
পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর ললিতা শেরপুর এলাকার আবু জাহের আলী খানের মেয়ে হিসাবে মোছা. লালিতা খান পরিচয়ে সাজু মিয়ার সাথে মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন অনুযায়ী প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ে হয় বলে জানান লালিতা। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া থাকতেন। কিন্তু হঠাৎ সাজু গাজিপুর কোনা বাড়ির একটি ভাড়া বাসায় রেখে গ্রামের বাড়ি চিলমারী চলে আসেন। এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বলে জানান লালিতা।
অবশেষে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) স্বামীর বাড়িতে আসলে বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন করে বের করে দেয় বলে জানান লালিতা খান।
লালিতা বলেন, প্রায় এক দেড় বছর প্রেমের পর সাজু আমাকে বিয়ে করে ২০১৬ সালে। প্রায় ৮ মাস আগে আমার গর্ভধারন হলে কিছু না বলে আমাকে রেখে চিলমারী চলে আসে এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাই আমি খোঁজ নিতে এসেছি। স্ত্রী ও গর্ভের সন্তানের পিতার পরিচয়ের দাবি নিয়ে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারকেও জানিয়েছি কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি এবং বিষয়টি থানায়ও জানাইছি। আমি সরকারসহ সবার কাছে সহযোগিতা চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাজু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার দেখা পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি জানতে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কথা হলে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি যেহেতু পারিবারিক তাই আদালতে গেলেই ভালো হবে।