বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থিতিশীল আছে তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলা ও প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক নষ্ট করার জন্য সারাদেশে দুর্গাপূজায় হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সরকার দু’হাতে সেটি মোকাবেলা করেছে এবং আওয়ামী লীগ অতন্দ্রপ্রহরী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ তৃণমূল। আওয়ামী লীগকে কেউ যখন খোঁচা দেয় তখন আওয়ামী লীগ জ্বলে ওঠে। তার প্রমাণ আমরা গত পরশুদিন দিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরেরদিন সকালেই ঢাকা শহরসহ সমগ্র বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা সমাবেশ করেছি। মাত্র কয়েক ঘণ্টার আহবানে ঢাকা শহরে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে, মিছিল হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশ করেছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এটি হলো আওয়ামী লীগ।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দল পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে। তাই সবাই এখন আওয়ামী লীগ হতে চায়। যে সমস্ত মানুষ অতীতে আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন এবং সমাজে যারা দুষ্কৃতকারী হিসেবে পরিচিত তারা পিঠ বাঁচানো, সম্পদ রক্ষা ও সম্পদ অর্জনের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ করতে চায় তাদের আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠার প্রয়োজন নেই। যারা দলের দুঃসময়ে কাজ করছেন এবং বিপদ-আপদে দলের সাথেই ছিল তাদেরকে আমরা মুল্যায়ন করবো।

এসময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, বারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও আনোয়ার হোসেন হেলালসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।