ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৪
ঢাকার ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন চারজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধামরাই থানায় দুই পক্ষ পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেছেন।
বুধবার (২০ অক্টোবর) রাত ৮টার সময় উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর ফকির পাড়া গ্রামে হযরত এন্ড রবিউল হ্যান্ডিক্যাপ একটি কুটির শিল্প কারখানায় ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন-মো. ইমরান হোসেন, তার ভাই হায়দার আলী ও তার বাবা লোকমান হোসেন, মো. মামুন হোসেন, তার বোন সোনিয়া বেগম ও বাবা মো. নিলা মিয়া। তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে হযরত এন্ড রবিউল হ্যান্ডিক্যাপ নামে এক কুটির শিল্প কারখানায় শ্রমিক মামুন ও হায়দার কাজ করার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এই ঘটনায় পর মিমাংসা করার লক্ষ্যে এক জায়গায় বসেন তারা। সেখানে মামুন ও তার বাবা নিলা মিয়া চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে মামুন পিছন থেকে গিয়ে হায়দারের মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। তখন হায়দারের ভাই ইমরান এগিয়ে গিয়ে মামুনকে ধরেন। সেখানে দুই পক্ষের মারামারিতে চার জন অহত হন।
গ্রামের লোকজন এসে ৯৯৯ লাইনে ফোন দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাভার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কারখানার শ্রমিক ও মালিক হযরত আলী জানান, কারখানায় কাজ করার সময় মামুনের মেশিন হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায়। তখন শ্রমিক হায়দার বলেন তোমার কাছে যে মেশিন যায় সেই মেশিন তুমি নষ্ট করে ফেলোG এ কথা বলার শেষ না হতে মামুন এক পর্যায়ে হায়দারকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকেন। প্রতিবাদ করলে মামুন হায়দারকে ঘুষি মারেন এবং এই নিয়ে দুই জনের মধ্যে মারামারি হয়। পরে মামুনের বোন সোনিয়া গিয়ে হায়দারকে মারতে থাকেন। খবর পেয়ে হায়দারের বড় ভাই ইমরান এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, মামুন ও তার বোন সোনিয়া তাদের হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে ইমরানের মাথায় ও বুকে, পিঠে আঘাত করলে ইমরান জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, কারখানায় মারামারির পর উভয় পক্ষই আমাকে ডাকলে আমি সেখানে উপস্থিত হই। মিমাংসার কথা বললে উভয় পক্ষই রাজি হয়। উভয় পক্ষ দরিদ্র হওয়ায় চিকিৎসার টাকা আমি দিয়েছি। এখন মিমাংসা সম্ভব নয়। শুনেছি উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) নূর ইসলাম বলেন, উভয়পক্ষই মারামারি করছে। পরে ওখানকার এলাকাবাসী ও সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওসি স্যারকে মিমাংসার করে দিবেন বলে জানান। সেই কথা মতে সেখান থেকে আমি চলে আসি।