এস এম রাফি

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২১ অক্টোবর, ২০২১

চিলমারীতে একরাতে নদীগর্ভে বিলীন ১৫ বাড়ি

ছবিঃ প্রতিদিনের সংবাদ

চিলমারীতে চরমাদারীপুর এলাকায় এক রাতেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ১৫ বাড়ি। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে আরো শতাধিক বাড়ি, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ শত শত একর আবাদী জমি।

জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে উত্তাল তিস্তা নদীতে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চিলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী চরমাদারীপুর এলাকায় এক রাতেই নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে একটি মসজিদসহ ১৫টি বসত বাড়ি। এছাড়া ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে আরো শতাধিক বাড়ি, কমিউনিটি ক্লিনিক, কারেন্ট বাজারসহ শত শত একর আবাদী জমি।

সরেজমিন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদী তীরবর্তী মানুষের আর্তনাদ। একরাতেই নদীগর্ভে বাড়ি ভিটে হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে হাহাকার। আতঙ্কে রয়েছে নদীতীরবর্তী মানুষজন। কোনরকমে তাদের বাড়ি-ঘর ও গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকলেও এশার নামাজের পর থেকে দেখা দেয় নদী ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয় ইলিয়াছ, সিদ্দিক, আব্দুস সালাম, মমিনুল ইসলাম, কাশেম, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রউফ, সাজেদুল, শামিউলসহ ১৫ জনের বাড়ি।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকা দেখিয়ে বলেন, এখানেই আমাদের বাড়ি-ভিটে ছিল। নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকের বাড়ি ঘর নদীগর্ভে চলে গেছে । আমরা কোন রকমে ঘর সরিয়ে নিয়েছি। এখন ভিটে ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমরা কোথায় আশ্রয় নিবো, কিভাবে চলবো কোন দিশা পাচ্ছি না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ জানান, আমার জীবনে এমন নদী ভাঙ্গনের তান্ডব দেখিনি। রাত ৮টার পর থেকেই ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভোররাত থেকেই ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় রয়েছি আমি।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চিলমারী,নদীগর্ভে বিলীন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close