ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ১৮ অক্টোবর, ২০২১

ত্রিশালের সেই বাসচালককে গ্রেপ্তার

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় ৭ জন বাসযাত্রী নিহতের ঘটনায় পলাতক ওই বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

তার বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায়। বাবার নাম মৃত লাল মামুন।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সিআইডি হেডকোয়ার্টারে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার সকালে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার গোতাশিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্যাপার এম.এ রহিম (ঢাকা মেট্রো ব-১১-০১৪৮) বাসের চালক মো. আনসার আলীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাসচালক সিআইডিকে জানান, তার বাসটি ১৬ অক্টোবর ঢাকার মহাখালী টার্মিনাল থেকে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ৪২ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর এর ঝিনাইগাতী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। একই সময়ে একই স্থান হতে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। প্রায় সময়ই তারা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালাতে থাকে। বাস দুটি ত্রিশাল থানাধীন চেলেরঘাট এলাকায় পৌঁছালে সৌখিন পরিবহন ও স্যাপার এম.এ রহিম বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতার এক পর্যায়ে স্যাপার এম.এ রহিম পরিবহনের বাসটি দ্রুত বেপরোয়া গতিতে রাস্তায় পার্কিংরত বিকল ড্রাম্প ট্রাকটিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তেই বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

সিআইডি জানায়, এসময় ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জনসহ মোট ৭ জন মারা যান। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বাসচালক আনসার আলী পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২ জন শিশু, ২ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ রয়েছেন। এরমধ্যে একই পরিবারের ৪ জন। তারা হলেন- আজমল মণ্ডল ওরফে ফজু (৩৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫), ছেলে আব্দুল্লাহ (৫) ও মেয়ে মারিয়া আক্তার আজমিনা (৮)। এছাড়া ফজলুল হকের শ্বশুর নজরুল ইসলাম (৫৫)। অন্য দুজন হলেন মো. সিরাজ (৩৫) ও হেলেনা (৪০)।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গ্রেপ্তার,ত্রিশাল,বাসচালক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close