মালিঝি নদী সংলগ্ন খালের দুপাড়ে বসবাসকারীদের সুবিধার্থে প্রায় ১৪ বছর আগে নির্মাণ করা হয় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া কবিরাজপাড়া গ্রামের সেতুটি। কিন্তু নির্মাণের ওই বছরেই পাহাড়ি ঢলে সেতুটি ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ সেতুটি পুনঃনির্মাণের পদক্ষেপ নেয়নি।

সেতুটি বর্তমানে বিধ্বস্ত অবস্থায় খালের পানিতে পড়ে আছে। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ভেঙে যাওয়া সেতুর পাশ দিয়ে কাঠ ও বাঁশের নড়েবড়ে সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোন সময় সাঁকোটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

স্থানীয়রা জানান, ২০০৭ সালে এলজিইডির অর্থায়নে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের ওই বছরেই পাহাড়ি ঢলে সেতুটি ভেঙে পড়ে যায়। এতে পুটলপাড়া, শাকপাড়া, মাছপাড়া, দড়কাপাড়া, কবিরাজপাড়া গ্রামের মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

ঘাগড়া কবিরাজপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মালিঝি নদীর শাখা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পানিতে পড়ে আছে। সেতুর পাশ দিয়ে কাঠ ও বাঁশের নড়েবড়ে সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।

ঘাগড়া পুটলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা বলেন, এখানে সেতু না থাকায় নড়েবড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচলে অনেক ভয় করে। এ কারণে অনেকেই বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।

ঘাগড়া পুটলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, এ খালের ওই পাড় থেকে এই বিদ্যালয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করে। সেতুটি না থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি ওই স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যেই একটি নির্মাণের দাবি জানান।

মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. আকবর আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে থাকলেও কতৃপক্ষ সেতুটি পুনঃনির্মাণের কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল বলেন, সেতুটির পুনঃনির্মাণের জন্য জন্য তালিকা করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন বলেন, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই খালের ওপর এলাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।