reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৪ অক্টোবর, ২০২১

কী ঘটেছিল কুমিল্লার পূজামণ্ডপে?

হাজীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হামলার ঘটনা ঘটেছে

কুমিল্লার ঘটনার জেরে হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলা

কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ পাওয়া এবং সেটিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা ও পুলিশের সাথে হামলাকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতের সেই সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর মন্দির আক্রমণ করার এ ঘটনা ঘটে।

হাজীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোমেনা আক্তার জানিয়েছেন, নিহত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে তারা পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন কিনা, সেটি তিনি নিশ্চিত করেননি। ঘটনার পর গতকাল রাত থেকে হাজীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

যা ঘটেছিল কুমিল্লার পূজামণ্ডপে

জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর আসে, নানুয়ারদীঘির পূজামণ্ডপের ভেতরে প্রতিমার পায়ের কাছে একটি কোরআন রাখা আছে। খবর পেয়েই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ সেখান থেকে কোরআন নিয়ে আসেন।

কিন্তু ১০টা নাগাদ একটি ছবি ব্যাপকভাবে সামাজিকমাধ্যমে ছড়াতে থাকে, যেখানে দেখা যায়—প্রতিমার হাঁটুর কাছে কোরআন। অনেকে এটি দিয়ে নানা ধরণের লাইভ বক্তব্য দিয়ে কোরআন অবমাননার অভিযোগ করতে থাকেন।

বুধবার সংঘর্ষের পর কুমিল্লা শহরের চিত্র

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেছেন, বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ কোরআন অবমাননা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে।

তিনি বলেন, সকালে নানুয়ারদীঘির মণ্ডপে কোরআন নজরে পড়লে দ্রুত পুলিশকে জানানো হয় এবং পুলিশ তখনি এসে কোরআনটি সরিয়ে নেয়। কিন্তু খবরটি খুব দ্রুত ছড়ানো হয় এবং কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজন ছাড়াও স্থানীয় অনেকে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে মণ্ডপগুলোতে হামলা করা শুরু হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গেলেও সেগুলো কোথায় হয়েছে তা বোঝা যায়নি।

পূজা উদযাপন পরিষদ যা বলছে

পূজা উদযাপন পরিষদের কুমিল্লা জেলা ইউনিটের সম্পাদক নির্মল পাল বলছেন খুব ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে। পূজা বানচালের জন্য পরিকল্পিতভাবে কোরআন রেখে এ ঘটনা ঘটিয়ে তারাই এখন শহরজুড়ে পূজাবিরোধী বিক্ষোভ করছে। কয়েকটি মণ্ডপে হামলার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু পুলিশের বাধায় ভেতরে ঢুকতে না পারলেও গেট বা সামনের স্থাপনা ভাংচুর করেছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়েছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কুমিল্লায় অনেকগুলো পূজামণ্ডপে উৎসব চলছিল। কিন্তু বুধবার যেই মণ্ডপে কোরআন পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে প্রতিমা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, পূজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছেন। খবর বিবিসির।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সংঘর্ষ,হামলা,হাজীগঞ্জ,পূজামণ্ডপ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close