আব্দুস শুকুর, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
আশ্বিনের শেষেও তাপদাহ
সূর্যের উত্তাপে দিনের শুরু, তীব্র গরমে শেষ
টানা চার দিনের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গলের জনজীবন। প্রচণ্ড উত্তাপের সঙ্গে সূর্যোদয় শুরু এবং উত্তাপের সাথেই সূর্যাস্ত হয়।
দিনে অসহনীয় রুদ্রের উত্তাপ আর রাতের বেলায় ভাপসা গরম মানুষের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে বেড়েছে জ্বর ও সর্দি-কাশি রোগীর সংখ্যা।
চোখ ধাঁধালো রোদে তাকানো ভীষণ দায় হয়ে পড়েছে। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে কদর বেড়েছে আখের রস, ডাবের পানি, এবং লেবু শরবতের। ফলে দুই দিনের ব্যবধানে শ্রীমঙ্গলের বাজারে সাইজভেদে প্রতি পিস লেবুর দাম বেড়েছে ১ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে দ্রব্যমূল্যের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। সব মিলিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারগুলো।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে শহরের ভানুগাছ সড়কে ৫৮ বছর বয়সী রিকশাচালক মাসুক মিয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই বয়সে রিকশা চালাতে কার মন চায়। তাও আবার এতো গরমে। কিন্তু কিছু করার নেই, সংসারে খানেওয়ালা ৬ জন। মেয়েরা বড়, ছেলে ছোট বিধায় কাজ-কাম করতে পারে না। তাই যত কষ্টই হোক রিকসা না চালিয়ে উপায় নেই।
লেবু আড়ত মালিক মো. রাজিব মিয়া জানান, গরমের কারণে লেবুর দাম কিছুটা বেড়েছে। যেসব লেবু দু'দিন আগেও প্রতি পিস কেনাবেচা হয়েছে এক থেকে দেড় টাকায়, কিন্তু এখন তা কেনাবেচা হচ্ছে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত।
তিনি আরো জানান, লেবুর দাম বাড়াতে বাগান মালিকরা এখন খুশি। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী মো. আনিসুর রহমান জানান, আজ দুপুর ১২ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, সাগরে নিম্নচাপ না হওয়া পর্যন্ত এমন তাপমাত্রা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।