কঞ্জন কান্তি চত্রুবর্তী, রাজাপুর

  ১৩ অক্টোবর, ২০২১

ব্রিজটি এখন মরণফাঁদ!

*এলজিইডি বলছে, এ ব্রিজ সড়ক ও জনপথ বিভাগের *সড়ক ও জনপথ বলছে, এখানে আমাদের কোনো দায়িত্ব নাই

ঝালকাঠির রাজাপুর সদরে প্রবেশের একমাত্র মাধ্যম বাগড়ি বেইলি ব্রিজ। এই ব্রিজটির মালিকানা কোন দপ্তরের, তা কেউ জানে না। দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা এই বেইলি ব্রিজটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজটি চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন, যাতায়াতকরে শত শত যানবাহন। প্রায় বছর ধরে এ বেইলি ব্রিজটি সংস্কারবিহীন পড়ে থাকলেও কোনো দপ্তর সংস্কারে এগিয়ে না আসায় জনমনে একটাই প্রশ্ন, এলজিইডি না আরএইচডি; ব্রিজটির মালিকানা আসলে কার?

রাজাপুর উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এ বাগড়ি বেইলি ব্রিজটি নব্বইয়ের দশকে নির্মিত হয়। এরপর এই বেইলি ব্রিজটিতে গত ৩০ বছরে আর কোনো সংস্কার লাগেনি। বছর খানেক আগে এই ব্রিজের পাটাতন নষ্ট হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ব্রিজটি মেরামতের জন্য কোনো দপ্তর এগিয়ে না আসায় রাজাপুর থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে ব্রিজের পাটাতন সংস্কার করেন। এরপর কিছুদিন এ বেইলি ব্রিজটি যান চলাচলে উপযোগী ছিল। হঠাৎ করে আবার ব্রিজটির পাটাতনে নতুন করে কয়েকটি গর্ত দেখা দেয়।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বেইলি ব্রিজটির পাটাতনগুলো পুরোনো হয়ে গেছে। পাটাতনের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রশাসনের নাকের ডগায় থাকলেও ব্রিজটির সংস্কার হচ্ছে না। অথচ এই ব্রিজটি দিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ডসহ প্রতিদিন শতশত যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিন এই ভাঙা ব্রিজের গর্তে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ যানবাহনের চাকা ঢুকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ভাঙা অবস্থায় প্রায় ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ সংস্কারে এগিয়ে আসেনি। নানা ধরনের যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এ কারণে ব্রিজটি ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ ও জীবনের ঝুঁকি বেড়েই চলছে। যেকোনো সময় পাটাতন ভেঙে যানবাহন খালে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজটি ভেঙে পাকা সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এলজিইডি রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মস্তোফা বলেন, ব্রিজের দুই দিকের রাস্তা আমাদের হলেও এই বেইলি ব্রিজ আমাদের দপ্তরের করা না। কেননা, এলজিইডি কংক্রিটের ছাড়া স্টিলের ব্রিজ কখনোই করে না। এ ব্রিজ সড়ক ও জনপথ বিভাগের।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, রাস্তা এলজিইডি বা সড়ক বিভাগ যারই হোক না কেন, যখন হস্তান্তর হয়েছে তখন ব্রিজসহ এলজিইডি দপ্তরে হস্তান্তর হয়েছে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হয়তো বিষয়টি জানেন না। এখানে আমাদের কোনো দায়িত্ব নাই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাজাপুর,মরণফাঁদ,দুর্ভোগ,বেইলি ব্রিজ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close