দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
দৌলতপুরে ৩৪ ভাতাভোগীর টাকার সন্ধান মিলেছে
অবশেষে সন্ধান মিলেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে হারিয়ে যাওয়া বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধিদের ভাতার টাকার। অভিযোগ ছিল, ৩৪ জনের ভাতার টাকা কোথায় গেলো, কে পেলো তাদের টাকা, সব মিলিয়ে টাকা না পাওয়া ভাতাভোগীদের অবস্থান ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এক পর্যায়ে ওই ৩৪ ভাতাভোগী আন্দোলন ও অনশনে শুরু করলে সেই আন্দোলন রুপ নেই বৃহত আন্দোলনে। এমন অবস্থায় ভাতাভোগীদের টাকার সন্ধান দিতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আতাউর রহমানসহ অফিস কর্মচারীরা নেয় কয়েক দফা সময়। ঘটনা পরিদর্শনে আসেন কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রোকসানা পারভীন।
মাস খানেক আগে ৩৪ জন ভাতাভোগীকে নিয়ে উপজেলা সমাসেবা কার্যালয়ে অনশনের নেতৃত্ব দেন জনৈক ব্যাক্তিরা। তাদের দাবি, কেউ ভাতার টাকা পায়নি, তাদের টাকা এখনই দিতে হবে। পরে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানকল্পে ১৫ দিনের সময় নেন।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩৪ জন ভাতাভোগীর মধ্যে নিশা নামের ব্যাক্তির টাকা তার ভাই লালনের মোবাইল থেকে দু’বারের টাকা উত্তোলন করা হলেও জানতে পারেনি ভাতাভোগী নিশা।
অপর ভাতাভোগী গঞ্জেরা খাতুনের টাকাও তার নাতি মাহ্ফুজ টাকা আল্লারদর্গা বাজারে নগদের একটি এজেন্ট থেকে তুলে নিয়েছে সেটাও জানতে পারেননি তিনি।
একইভাবে ভাতাভুগী আ. সাত্তার আলীর ভাতার টাকা তার ছেলে সেন্টু তুলে নিয়ছে। এমনি করে ৩৪ জনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে দেখা যায় ৩৪ জনের মধ্যে ৪ জনের টাকা বাউন্স ব্যাক হয়েছে। বাউন্স ব্যাক হওয়া টাকা ইতোমধ্যেই ভাতা হিসেবে যোগ হয়েছে।
এছাড়া ২৫ জনের টাকা কারো ছেলে, কারো মেয়ে, কারো ছেলের বউ, কারো জামাই, কারো প্রতিবেশী, কারো পাশের বাড়ির লোক, কারো নিকট আত্মীয়র মোবাইল ব্যাংকিং নগদে ঢুকেছে। কেবলমাত্র ৫ জনের টাকা অন্য জেলার ব্যাক্তিদের মোবাইল নাম্বারে ঢুকেছে। তাদের মধ্যে ২ জনের টাকা ফেরত দিয়েছে, বাকিগুলো ফেরতের চেষ্টে অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় উপজেলা সমাজসেবা অফিস কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশা, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড: এজাজ আহমেদ মামুনের নেতৃত্বে উপজেলার ৩২০০০ হাজার ভাতাভোগীদের ভাতার টাকা সরাসরি মোবাইলের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা সামাজসেবা অফিস। কিন্তু সংসদ সদস্য, উপজেলার চেয়ারম্যানের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং সমাজসেবা অফিসের শুনাম নষ্ট করার জন্য কতিপয় ব্যাক্তি মিথ্যাচার ও অপ-প্রচার চালাচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, সমাসসেবা কার্য্যালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভালোবাসার উপহার বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধির ভাতার টাকা সরাসরি নিজের মোবাইলে পাই এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাতদিন আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
তিনি আরোও বলেন, সরকারের এহেন মহত উদ্মোগকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে তারা কখনই সফল হতে পারবেনা বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।