কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

  ১১ অক্টোবর, ২০২১

কুমারখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়া খ্যাত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলা করেছে সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (সজেকা) কুষ্টিয়া।

সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহেরের আদালতে সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পালের দেয়া এজাহারটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়েছেন।

দুদকের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রশীদ(৫৬)। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা ৪১/১, এস.এ টাওয়ার, চাঁদ মহাম্মদ রোড, থানাপাড়া, কুষ্টিয়া।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ হতে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশীদ চাকরিকালীন সময়ে অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি এখতিয়ার বহির্ভূত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিত্তের অধিকারী হন। দুদক কর্তৃক পর্যবেক্ষনাধীন সম্পদের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে সনাক্তকৃত জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৩৩,৯৫,৩২৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ সালের ২৭(১) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন। এ অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলা নম্বর-১৫/২০২১।

সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (সজেকা) কুষ্টিয়ার কৌশুলী এ্যাড. আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুদকের সব মামলাই চুড়ান্তভাবে আদালতে দাখিলের পূর্বে নিবির পর্যবেক্ষণ ও বিচক্ষনতার সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। শুধুমাত্র যেসব ক্ষেত্রে তদন্তে সত্যতা আছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় সেগুলিই চুড়ান্ত মামলা হিসেবে রেকর্ড পূর্বক তা আদালতে দাখিল করা হয়। এই মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সোমবার বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকতারা।

সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (সজেকা) কুষ্টিয়া কার্যালয় থেকে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে উল্লেখিত জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ ছাড়াও আরো কয়েক কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে যেগুলো পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াধীন বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে এ বিষয়ে কুমারখালী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা আব্দুর রশিদের মুঠোফোনে কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুমারখালী,উপজেলা,শিক্ষা অফিসার,দুদকের মামলা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close