বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর শহড়াবাড়ি ঘাট এলাকায় খননযন্ত্র বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছেন হযরত আলী নামের এক আ’লীগ নেতা। গত ৫দিন ধরে চলছে এই বালু উত্তোলন।

হযরত আলী ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। যমুনা নদীর শহরাবাড়ি নৌ ঘাট ইজারা নিয়ে তিনি ব্যবসা করেন।

ধুনট উপজেলায় এক সময় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের রমরমা ব্যবসা ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক তৎপরতার কারণে প্রকাশ্যে বালু ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট নৌকায় করে যমুনা নদীর ভিতর থেকে বালু সংগ্রহ করে। সেই বালু ধুনট উপজেলার সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে নিয়ে বিক্রি করা হয়।

২৯ সেপ্টেম্বর যমুনা নদীর বৈশাখী ও রাধানগর চরে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানকালে বালু উত্তোলনে নিয়োজিত ১৪ জন শ্রমিককে আটক ও বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ৪টি ভলগেট মেশিন জব্দ করা হয়। পরে ১৪ শ্রমিকের এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু তারপরেও থামছে না বালু ব্যবসায়ীদের দৈরাত্ম্য। যমুনা নদী থেকে অবাধে বালু তুলে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে খননযন্ত্র বসিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছেন হযরত আলী।

সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদীর শহড়াবাড়ি ঘাটের অদূরে ডুবোচর কাটার অজুহাত দেখিয়ে খননযন্ত্র বাসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত ৫ দিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা হযরত আলী এ বালু তুলছেন। যমুনা নদীর শহড়াবাড়ি ঘাটের দক্ষিণ পাশে বালু জমা করা হচ্ছে।

বালু উত্তোলনের বিষয়ে হযরত আলী জানান, জেলা পরিষদ থেকে শহড়াবাড়ি নৌঘাট ইজারা বন্দোবস্ত নিয়েছেন তিনি। যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় নৌকা চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এজন্য বালু তুলে নৌকা চলাচলের পথ পরিষ্কার করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা পরিষদের ডুবোচর কাটার জন্য ২৫০মিটার এলাকায় বালু উত্তোলনের আবেদন করেছি। তবে এখনও বালু উত্তোলনের অনুমতি মেলেনি।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে কারাদণ্ড ও ৪টি ভলগেট মেশিন জব্দ করা হয়েছে। আবারো বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। খোঁজ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।