reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

জনবান্ধব পৌরসভা গড়তে চাই

পৌরসভা উন্নয়নে আমি বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে পৌর এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। দ্রুত চালু হবে এমন অনেক কাজ হাতে রয়েছে। ড্রেন, কালভার্ট ও দুটি বড় শপিং মল তৈরির জন্য বরাদ্দ পেয়েছি। পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য ৪৩ শতাংশ জমি কিনেছি। আরো ৭ বিঘা জমির রেজিস্ট্রি বায়না করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হব বলে প্রত্যাশা করছি, বলছিলেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান খান (ভিপি শহীদ)। প্রতিদিনের সংবাদকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন তার ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা। সেসব কথা প্রতিবেদনে তুলেছেন গোলাম মোস্তফা

মেয়র বলেন, ‘আমি চাই এই পৌরসভা হবে আধুনিক ও মডেল পৌরসভা। চলতি অর্থবছরে পানি সরবরাহের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বরাদ্দ এসেছে। পৌরসভার প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে গভীর পানির পাম্প স্থাপনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ শহর অবকাঠামো প্রকল্পের ১৪ কোটি টাকায় সড়কের উন্নয়নকাজ প্রক্রিয়াধীন। সড়কবাতির কাজ করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে পৌর এলাকায় প্রায় ৫০০ সড়কবাতির খুঁটি ও লাইট স্থাপন করা হয়েছে। ফলে পৌর এলাকার নির্জন স্থানে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই বন্ধ হয়ে গেছে।’

শহরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের মতো আমারও কিছু স্বপ্ন ছিল, আশা ছিল ও আছে। তা পূরণে আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব। জনগণের বাইরে থেকে সব কাজ করাও সম্ভব নয়। তাই জনগণের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা সবকিছু শেয়ার করে আগামী দিনে দলের সহমর্মিতা পেলে ঘাটাইলে জনবান্ধব পৌরসভা গঠন করতে চাই। যে কারণে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা এবং সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে মনেপ্রাণে কাজ করে যাচ্ছি।’

মেয়র শহিদুজ্জামান খান আরো বলেন, ‘আমি বাস্তবে বিশ্বাসী। অবস্থা ও সার্বিক বিবেচনায় যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমি শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও মানুষের ভালোবাসা নিয়ে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশ ও সহযোগিতায় জনগণের মধ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ এবং সরকারি সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় গৃহীত কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়েছি। পৌরসভা বিগত দিনের চেয়ে জনবান্ধব হয়েছে।’

আপনার বিরুদ্ধে পৌরবাসী বা অন্য কারো অভিযোগ আছে কি না জানতে চাইলে মেয়র ভিপি শহীদ বলেন, ‘এক বছরে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। আমি সরকারি নিয়মের বাইরে কোনো কাজই করছি না। সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনে যা আছে সে অনুযায়ী আমি সব কাজ বাস্তবায়ন করি। সব অনুষ্ঠানে আমি ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি।’

পৌরসভার উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে

করোনাকালের শুরু থেকেই জনসাধারণকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। পৌর এলাকায় দরিদ্র ও পথশিশু এবং গরিব শিক্ষার্থীর মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র ও বিতরণ করেছি। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার দুই দশকে ঘাটাইল পৌরসভার এবার উন্নয়নমূলক অনেক পরিবর্তন এসেছে। রাস্তাঘাটের বেহালদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে। আরো রাস্তার কাজ চলছে, এগুলো শেষ হলে রাস্তার সমস্যা আর থাকবে না।

প্রসঙ্গত, ঘাটাইল পৌরসভার যাত্রা শুরু ১৯৯৮ সালে ১০ সেপ্টেম্বর প্রথমে ‘গ’ শ্রেণিতে। ২০০৮ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘খ’ শ্রেণিতে এবং পরে তৃতীয় পর্যায়ে ২০১৬ ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ১১.০২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌরসভায় প্রায় ৫০ হাজার নাগরিকের বাস। এই পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী ভোটার ১৯ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৬৭৬ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৭৭ জন। শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ।

২০১৬ সালের ৭ আগস্ট বিএনপি সমর্থিত প্রাথী ফারুক হোসেন ধলাকে ৪১২৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান খান ভিপি শহীদ। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই তার রাজনীতি শুরু। প্রথমে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি। পরে ১৯৯০ থেকে ৯১ পর্যন্ত ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক। তারপর জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্র সংসদের জিএস এবং পরে ভিপি নির্বাচিত হন।

আগামীকাল পড়ুন : ঘোড়াশাল পৌর মেয়রের কথা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উন্নয়ন,ঘাটাইল পৌরসভা,শহীদুজ্জামান খান,ভিপি শহীদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close