ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দৃশ্যমান উন্নয়নে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ঘাটাইল পৌরসভা

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভার উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পৌর মেয়র কাউন্সিলররা যৌথ উদ্যোগে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে কাজ বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ঘাটাইল উপজেলার পৌরসভা হিসেবে এর যাত্রা শুরু ১৯৯৮ সালে ১০ সেপ্টেম্বর প্রথমে ‘গ শ্রেণিতে। ২০০৮ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘খ শ্রেণিতে এবং পরবর্তীতে তৃতীয় পর্যায়ে ২০১৬ ‘ক শ্রেণিতে উন্নীত হয় ঘাটাইল পৌরসভা। ১১.০২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঘাটাইল পৌরসভায় প্রায় ৫০ হাজার নাগরিকের বসবাস। এই পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী ভোটার ১৯ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৬৭৬ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৭৭ জন। শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের ৭ আগস্টে বর্তমান মেয়রের নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি সমর্থিত প্রাথী ফারুক হোসেন ধলাকে ৪১২৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। প্রথম বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান খান ভিপি শহীদ।

পৌর এলাকায় মোট রাস্তার পরিমাণ ৫১.৭৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে ২৬.৫০ কিলোমিটার পাকা আর কাঁচা রাস্তা ২৫.২৫ কিলোমিটার।

পৌর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে ওয়াটার সাপ্লাইয়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। পৌরসভার প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে পানি সরবরাহের জন্য ৩০টি গভীর পানির পাম্প স্থাপনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ শহর অবকাঠামো প্রকল্পের ১৪ কোটি টাকায় পৌর এলাকার সকল ওয়ার্ডের সড়কের উন্নয়ন কাজ প্রক্রিয়াধীন। এডিবির টাকা ব্যয়ে সড়কে আলোকবাতির কাজ করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে পৌর এলাকায় প্রায় ৫০০ টি আলোকবাতির খুঁটি ও লাইট স্থাপন করা হয়েছে। যার কারণে পৌর এলাকার নির্জন স্থানে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই বন্ধ হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানান।

স্থানীয়রা জানান, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার দুই দশকে ঘাটাইল পৌরসভার এবার উন্নয়নমূলক অনেক পরিবর্তন এসেছে। তবে আরও অনেক কিছু বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন তেমন না হওয়ায় ভারী বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় পানি জমে যায়। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে।

পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের আকবর হোসেন বলেন, করোনাকালের শুরু থেকেই পৌর মেয়র শহীদ জনসাধারণকে করোনা সচেতনতায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তিনি প্রায়ই পৌর এলাকায় দরিদ্র ও পথশিশু এবং গরিব শিক্ষার্থীর মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র বিতরণ করেছেন। এছাড়াও পৌর মেয়র সাময়িক ক্ষতিগ্রস্থদেরও সহায়তা প্রদান করেছেন।

পৌর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি সদস্য আনসার আলী জানান, ইতোপূর্বে পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহালদশার হাত থেকে পৌরবাসী উন্নীত হয়েছে। কিছু রাস্তার কাজ চলছে, এগুলো শেষ হলে রাস্তার আর কোন সমস্যা থাকবে না ।

ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান খান ভিপি শহীদ জানান, ঘাটাইল পৌরসভা উন্নয়নে আমি বদ্ধ পরিকর। পৌর এলাকায় বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। চলমান ও দ্রুতই চালু হবে এমন অনেক কাজ আমাদের হাতে রয়েছে। ড্রেন, কালভার্ট ও ২টি মার্কেট বরাদ্দ পেয়েছি। ঘাটাইল মার্কেটের কাজ চলমান এবং ঝড়কা বাজারে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। সাম্প্রতিক পৌর সদরের ময়লা আবর্জনা রাখার জন্য ৪৩ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেছি, আরও ৭ বিঘা ভূমি ক্রয়ের জন্য রেজিস্ট্রি বায়না করা হয়েছে। এরপরও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ পৌরসভায় আরও উন্নয়নের ছোঁয়া রাখতে সক্ষম হব বলে প্রত্যাশা করছি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঘাটাইল পৌরসভা,উন্নয়ন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close