চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের মধ্য পুটিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনায় শিশু শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুবিধার্থে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে একটি মিনি শিশু পার্ক।

এতে পাল্টে গেছে শিক্ষার পরিবেশ ও অনন্য সৌন্দর্যের দৃশ্য। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যালয়ে আসার আগ্রহ বেড়ে গেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সামনে মিনি শিশু পার্ক। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরিবেশসম্মত একটি স্হান। ক্লাসের বিরতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা স্লিপার থেকে পিছলে পড়ছে, কেউবা দোলনায় দোল খাচ্ছে, আবার কেউ ব্যালেন্সিং যন্ত্রে ওঠানামা করছে বিদ্যালয়ে স্থাপন করা স্লিপার, ব্যালান্সিং, ল্যাডার কিংবা অন্যান্য খেলনা সামগ্রীতে।

জায়নুফা আক্তার (১০) তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার রোল নম্বর ২৫ । আয়েশা সিদ্দিকাও (০৯) একই শ্রেণিতে পড়ে। তার রোল নম্বর ১৭। একপাশে জায়নুফা অপরপ্রান্তে আয়েশা বসে ব্যালান্সিং খেলনায় তারা একটানা খেলে যাচ্ছে।

তানভীর উল হোসেন (১২) পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। রোল নম্বর তার ২৩। স্লিপারে তানভীর তার বন্ধুদের সাথে অবিরত উঠানামা করে যাচ্ছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, আজকের শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশুরা যাতে পড়ালেখাকে চাপ মনে না করে, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট্ট শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার প্রদান করেছেন। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি জানান, বিদ্যালয়ে 'নীড বেইসড প্লেয়িং এক্সসরিজ’ স্থাপনা করায় এখন শিশুরা আনন্দে স্কুলে আসছে, হাসছে, খেলছে আর পড়ছে। আমাদের বিদ্যালয় যেন এক মিনি শিশু পার্ক।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাহিদুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, সরকারি বরাদ্দ দিয়ে খেলনা সামগ্রী স্থাপন করার পর একসময়ের অনিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়ম করে এখন বিদ্যালয়ে আসছে। করোনা পরবর্তীতে সারা দেশে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেলেও আমার বিদ্যালয়ে উপস্থিতি খুবই সন্তোষজনক।

লোহাগাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আকরাম হোসেন প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ছাত্র-ছাত্রীদরে ঝরে পড়া রোধ ও উপস্থিতি বাড়াতে নিড বেইজড প্লেয়িং এক্সেসরিজ প্রকল্পের আওতায় লোহাগাড়া দশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলনা সামগ্রী হিসেবে স্লিপার, দোলনা, ব্যালান্সিং স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে লোহাগাড়ার অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোতে এসব খেলনা সামগ্রী স্থাপন করা হবে।