তালতলীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা
বরগুনার তালতলীতে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিক মল্লিক মো. জামালে ওপর হামলা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের তালতলী প্রতিনিধি ও সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক মো. জামাল উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় চোরাই মালামাল বিক্রি হয় এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে স্থানীয় ইমরানের দোকানের সামনে উল্লেখিত চোরাই মালামালের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করায় বাধাগ্রস্ত হোন।
একইসাথে ঘটনাস্থলে বসে ওই সাংবাদিকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তথ্য সংগ্রহ করে ফেরার পথে ঘটনার জের ধরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি হুমায়ুন খন্দকার এবং সংবদ্ধ চোরাচালানির সাথে জড়িত মো. নাসিরসহ অপরিচিত ৫-৬ জন পথরোধ করেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই হুমায়ুন খন্দকার ও নাসির চর-থাপ্পর ও রড দিয়ে এলোপাথেরি পিটাতে থাকেন ও সাথে থাকা এন্ড্রেয়েট ফোনটি ভেঙে ফেলে।
এসময় ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে পাঠায়। পরে রাতেই সাংবাদিক মল্লিক জামাল তালতলী থানায় হুমায়ুন খন্দকার ও চোর চক্রের সদস্য নাসিরসহ ৫-৬ জন আসামি করে থানায় মামলা করেন।
আহত সাংবাদিক মল্লিক জামাল বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মালামাল চুরি করে বিক্রি করছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে যাই। তথ্য সংগ্রহ করে ফেরার পথে এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি হুমায়ুন খন্দকার এবং সংবদ্ধ চোরাচালানির সাথে জড়িত মো. নাসিরসহ অপরিচিতরা আমার উপরে হামলা করে। এঘটনায় থানায় একটি মামলা করি।
এ বিষয়ে তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের ফোরামে জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধন্ত নেওয়া হবে।
তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দ্রুত আসামিদে গ্রেপ্তারের দাবি করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, সাংবাদিক মল্লিক জামালের উপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।