চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
চিলমারীতে ভাঙা কক্ষেই চলছে পাঠদান
দীর্ঘ ১৮মাস বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর খোলা হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে নদীগর্ভে বিলিন ব্রহ্মপুত্র পাড়ের একটি প্রতিষ্ঠানের ৭শ শিক্ষার্থীদের পড়া লেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ভাঙা কক্ষে ও পাশেই গ্রামের বাজারের হাটশেটের মধ্যে পাঠদান নেয়া হচ্ছে। ফলে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারেননি প্রতিষ্ঠান প্রধান।
শিক্ষার্থী রেখা, রুমানা, সুভ, সুমন মন্ডল বলে, অনেকদিন পর স্কুলে এসে সবার সাথে দেখা হয়ে ভালই লাগছে, কিন্তু স্কুল টি নদীতে ভেঙে যাওয়ায় এখন পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গেলো বন্যায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের একমাত্র দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুুল অ্যান্ড কলেজটি নদীভাঙনের শিকার হয়। নদের তীরে স্কুলের মূল পাকা ভবনটিও ভাঙনের হুমকিতে। সেই ভবনে রাখা হয়েছে অন্য ক্লাসের চেয়ার, বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ডসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
স্কুলটি স্থানান্তরের জন্য নদ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে দেড় একর জমিতে নতুন ঘর নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। সেখানে একটি টিনের ছোট ঘর তোলা হচ্ছে। যার কাজ এখনও শেষ হয়নি। আর শেষ হলেও সেখানে প্রায় ৭০০ ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, আমরা দুই মাস আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি প্রতিষ্ঠান খুলতে তবে গেলো বন্যায় আমাদের স্কুলের মুল ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। ফলে ভাঙা কক্ষেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তুলনায় শ্রেণির সংখ্যা কম হওয়ার শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সমস্যা হয়েছে।
পিডিএসওেএসএমএস