বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বাউফল উপজেলা সদর পোস্ট অফিস বেহাল!

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদর পোস্ট অফিসের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। কার্যালয়ের সামনের অংশ, আশপাশ লতাপাতা ও গাছপালায় ছেয়ে গেছে। বলা চলে- লতাপাতার ভারে নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না ডাকঘরটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অফিসে প্রবেশ পথে, ছাদে ও আশপাশে লতাপাতা ও গাছপালায় ছেয়ে গেছে । ডাকঘরটি সংস্কারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। এছাড়া ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ায় অফিসের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসার চেয়ার টেবিল নষ্ট হচ্ছে এবং অফিসের ছাদ ও দেয়াল ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় প্লাস্টার খসে পড়ছে।

অফিস ভবনের মধ্যে পোস্টমাস্টারের কোয়ার্টারও পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। নেই গ্রাহকদের বসার কোন ব্যবস্থা। জরাজীর্ণ অবস্থায় চলছে ডাকঘরটির কার্যক্রম। দৈনিক প্রায় ৩শ মানুষ চিঠিপত্র ছাড়াও টাকা লেনদেন করতে আসেন এই অফিসে।

স্থানীয়রা জানান, ডাকঘরটির খুবই করুন অবস্থা। অফিসের চারপাশে গাছপালায় ছেয়ে গেছে। বহিরাগতদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে অফিস চত্বর। ডাকঘরে প্রবেশ পথে পাশের দোকারদার ও পথচারিরা প্রসাব করেন নিয়মিত।

এব্যাপারে বাউফল উপজেলা সদর পোস্টমাস্টার মো. ইব্রাহিম অফিস চত্বরে বহিরাগতদের আড্ডা ও প্রসাবের কথা স্বীকার করে বলেন, এখন নেট দওেয়া হয়েছে প্রসাব করতে পারবে না। বর্ষার জন্য অফিসের সামনে ও আশপাশে গাছপালা, লতাপাতা ছেয়ে গেছে। অচিরেই এগুলো পরিস্কার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ডাকঘরটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ থাকায় কক্ষগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হযে পড়েছে। ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ায় অফিস স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে এবং দেয়াল ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় প্লাস্টার খসে পড়ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুঘর্টনাও ঘটতে পারে। শুনেছি টেন্ডার হয়েছে, এব্যাপারে জেলার স্যাররা বিস্তারিত বলতে পারবেন ।

এ বিষয়ে জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু সালেহ মো. মুছা বলেন, বাউফলের পোস্ট অফিসটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় অন্যত্র অফিস ভাড়া নেওয়া হবে। জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে।

পিডিএসও/এসএমএস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাউফল,বেহাল,পোস্ট অফিস
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close