নারায়ণগঞ্জের জাফনাথ সাঈদা নামের ১৬ মাস বয়সের একটি শিশুকে অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর ঢাকার মহাখালী উড়ালসেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই স্থান থেকেই শারমিন আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীকে গ্রেপ্তার করেছে।

অপহরণের শিকার জাফনাথ সাঈদা সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলাম ও উম্মে সালমা দম্পতির সন্তান। জহিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ আদালতের আইনজীবী ও তার স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ সরকারি তুলারাম কলেজের প্রভাষক। এদিকে গ্রেপ্তার কিশোরী তাদের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রবিবার বিকেলে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ২৫ দিন আগে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শারমিন শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে ওই দিন বিকেলেই সোনারগাঁ থানায় গৃহকর্মীকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন জহিরুল ইসলাম। মামলার পর নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন ও সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে থানা-পুলিশের একাধিক দল কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।

অপহৃত শিশুর বাবা জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাসায় কাজ নেওয়ার আগে ওই কিশোরী বস্তিতে থাকত এবং সে যে মাদকাসক্ত ছিল, তা আমাদের জানা ছিল না। তথ্য গোপন করে সে আমার বাসায় কাজ নেয়। পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতার কারণে আমাদের সন্তানকে আমরা ফিরে পেয়েছি।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার তেজগাঁওয়ের সাততলা বস্তিতে অভিযান চালানো হয়। বস্তির কয়েকজন বাসিন্দা ও কিশোরীর মায়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহাখালী উড়ালসেতুর নিচ থেকে অপহৃত শিশু জাফনাথ সাঈদাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অভিযুক্ত কিশোরীকে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

পিডিএসও/ জিজাক