reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

৭৬ বছরেও জুটেনি আয়েশার বয়স্ক-বিধবা ভাতা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

বয়স পেরিয়েছে ৭৬ বছর। বয়সের ভারে এখন আর ঠিকমতো চলাফেরা করা যায় না। স্বামী মারা গেছেন বহুদিন আগে। রাষ্ট্রীয় নিয়মানুযায়ী বয়স্ক ও বিধবা ভাতা যার প্রাপ্য, সেই আয়েশা আক্তারের ভাতা জোটেনি আজও।

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের মৃত আফতাব আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম সাল (১৯৪৫) অনুযায়ী বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৬ বছর। স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। অথচ এখনও তার কপালে জুটেনি বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড। বৃদ্ধা আয়েশা আক্তারের প্রশ্ন ‘আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড পাবো’?

স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে । তারাও স্বামীর বাড়ি চলে গেছেন। কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় স্বামী মারা যাওয়ার পর মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। বর্তমানে বয়সের ভারে কর্মশক্তি হারিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করেন। অনেকটা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে বৃদ্ধা আয়েশার। প্রতিদিন অন্যের হাতের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাকে। কোনো কোনো দিন এক বেলা খাবার জুটলেও অন্য বেলায় না খেয়ে থাকতে হয়। ঈদের মতো বড় উৎসবে তার একটু খোঁজ নেয়ার কেউ নেই। অথচ এখনও তার কপালে জুটেনি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড।

এই বৃদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, আমার দেখা কত চেয়ারম্যানের পরিবর্তন হলো, কিন্তু আমার দিকে কেউ চেয়ে দেখল না। তিনি আরও বলেন, আগে আমি অফিসে গিয়েছি কিন্তু কাজ হয়নি তবে এখন আর তাদের কাছে যাই না।

এ ব্যাপারে বহরা ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ আসেনি। বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতার কার্ড পাওয়ার যোগ্য কেউ থাকলে চেষ্টা করবো দ্রুতই এর ব্যবস্থা করে দিতে।

পিডিএসও/ইউসুফ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আয়েশা আক্তার,৭৬ বছর,বয়স্ক ভাতা,মাধবপুর,হবিগঞ্জ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close