পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
পলাশে ন্যায্যমূল্যে চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন
উপজেলার হাট বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্ম আয়ের মানুষ ভিড় করছে খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল-আটা বিক্রির ডিলারদের কাছে।
পলাশের ঘোড়াশাল পৌরসভায় চারটি কেন্দ্রের দোকানগুলোতে মঙ্গলবার অস্বাভাবিক ভিড় দেখা গেছে। তাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ডিলাররা।
চাল-আটা কিনতে আসা পলাশের বিলকিছ বেগম জানান, দোকান খোলার আগেই লম্বা লাইন পড়ে যায়, তাই দোকান খোলার এক ঘণ্টা আগে এসেই লাইনে দাঁড়িয়েছি।
পৌর এলাকার টেকপাড়া গ্রামের সাথী আক্তার ওএমএসের চালের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে বলেন, চালের জন্য সকাল ৯টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। ১০টার দিকে চাল বিক্রি শুরু হয়। পাঁচ কেজি চাল ও আটার জন্য এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপরও চাল ও আটা কিনতে পারলে খুশি। কারণ লকডাউনে আমাদের নিন্ম আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ঘোড়াশালের ডিলার আখতারুজ্জামান ও পলাশের খানেপুর বাজারের ডিলার খোরশেদ আলম বলেন, লকডাউনের মধ্যে ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। আমরা যে চাল ও আটা বরাদ্দ পাচ্ছি, তা অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ কম। বর্তমানে একজন ডিলার সর্বোচ্চ দেড় টন চাল ও এক টন আটা বরাদ্দ পান। এ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যাবে।
এদিকে পলাশ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক জানান, মহামারি করোনাভাইরাসে চলমান সংক্রমণের কারণে সরকারের বিধি নিষিধের ফলে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ নিন্ম আয়ের মানুষের সহায়তা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত প্রনোদণা প্যাকেজের আওতায় ওএমএস এর বিশেষ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। পৌরসভার চারটি কেন্দ্রে শুক্রবার ব্যতিত প্রতিদিন প্রতিকেন্দ্রে ৩০০ পরিবারকে ৫ কেজি করে ৩০ টাকা দরে ১ হাজার ৫০০ কেজি চাল ও ৫ কেজি করে ২০০ পরিবারকে ১৮ টাকা দরে ১০০০ কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা ওএমএসের ডিলারের কাছে ছুটছেন। অনেকেই ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই নির্ধারিত স্থানে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন দিয়ে বিক্রি হচ্ছে পণ্য।
পিডিএসও/ জিজাক