কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরদিয়াড় গ্রামের দিনমজুর রতন-লিমার ঘর আলো করে মাস খানেক আগে জন্ম নেয় দুই মেয়ে। যমজ মেয়ে শিশু জন্ম হওয়ার খুশিতে তাদের নামটাও রাখেন হাসি ও খুশি। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দেশে কঠোর লকডাউন চলায় হাসি ও খুশির দিনমজুর বাবা কর্মহীন পড়েন। সংসার চালানোসহ তাদের দুধ কেনার টাকা জোগাড় করতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন তিনি মানুষের কাছে। এমন কঠিন বাস্তবতায় হাসি ও খুশির মুখ দু’টি হাসিতে ভরিয়ে রাখতে মা লিমা দুধের পরিবর্তে ভাতের মাড় খাওয়াচ্ছে কয়েকদিন ধরে।

সোমবার সকালে দিনমজুর রতন আলীকে যমজ কন্যা সন্তানের দুধ কেনার টাকার জন্য কান্না করতে দেখা যায় বাড়ির সামনে। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি এই কঠিন সময়ে সংসার চালাতে ব্যর্থ। কয়েকদিন এর ওর কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও আজ তাও পারছি না। দিনমজুর রতন আরও বলেন, ঘরে আমার এক মাস বয়সের যমজ কন্যা সন্তান আছে। যাদের জন্য দু’দিন পর পর ৩’শ টাকার দুধ লাগে। কিন্তু বর্তমানে আমার কাজ না থাকায় আমি দুধ কিনতে ব্যর্থ। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি কিন্তু কেউ সহযোগিতা করেনি।

স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী জানান, বিষয়টি খুবই কষ্টের। রোববার আমি শোনার সঙ্গে সঙ্গে দিনমজুর রতন আলীকে ৫ শ’ টাকা দিয়েছি। পরবর্তীতে সরকারি কোন অনুদান আসলে তাকে দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারকে জানালে তিনি বলেন, যমজ কন্যা শিশুর বাবা মায়ের এনআইডি কার্ড নিয়ে পিআইও অফিসে যোগাযোগ করলে শিশু খাদ্যের ব্যবস্থা করা হবে।

ভিডিও দেখুন :

পিডিএসও/ জিজাক