আশরাফুল ইসলাম, শ্রীপুর

  ৩১ জুলাই, ২০২১

কর্মস্থলে ফিরছে শ্রমিক, সড়কে ভোগান্তি

সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের ৯দিন পর খুলে দেয়া হচ্ছে পোশাক কারখানাসহ ছোট-বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান । তবে সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় কারখানার শ্রমিক-কর্মী এবং অফিসগামী যাত্রীদের শনিবার সকালে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সড়কে। গণপরিবহন না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে অপেক্ষার পাশাপাশি বিকল্প উপায়ে অফিস ও কারখানায় যেতে কর্মীদের গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা।

শিল্পাঞ্চল খ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুরের শত শত কারখানার শ্রমিক মহাসড়ক ধরে হাঁটছেন। হাতে ব্যাগ, মাথায় ভারী বোঝা নিয়ে ঠাসাঠাসি ও গাদাগাদি করে জীবন বাঁচানের তাগিদেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ শিশুসহ হাজারো শ্রমিক করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই আসছেন কর্মস্থলে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও পোশাক শ্রমিক।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা ও ময়মনসিংহের শেষ সীমান্ত জৈনাবাজার এলাকা থেকে শুরু করে মাওনা চৌরাস্তা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা যায়।

ময়মনসিংহ থেকে আসা নারী পোশাকশ্রমিক আজুন্নাহার বলেন, রাস্তায় গাড়ি পাবো না জেনেই ভোরে রওনা হয়েছি। রাস্তায় ভেঙে ভেঙে কখনো পিকআপ, কখনো সিএনজি কখনো অটারিক্সা দিয়ে তিনগুন ভাড়া দিয়ে জয়না বাজার পর্যন্ত এসে পায়ে হেঁটে মাওনা চৌরাস্তা পর্যন্ত এসেছি।

মহাসড়কের জৈনা বাজার বাস স্টপেজে যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক ফরহাদ মিয়া। সকাল ৭টার দিকে জৈনা বাজারের বাসা থেকে বের হয়ে অটো দিয়ে বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু সড়কে নেই বাস। পরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দ্বিগুন ভাড়ায় অফিসের উদ্দেশে রওনা হন।

কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠান কর্মীদের যাতায়াতের জন্য কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করেনি। যে কারণে কর্মীদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ভাড়া গোনার পাশাপাশি পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। তবে লকডাউনের নবম দিনে পোশাক কারখানা খুলে না দেয়া হলে ছোট খাটো যানবাহনকে কোনওভাবেই থামানো যাচ্ছে না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শ্রীপুর,শ্রমিক,ভোগান্তি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close