তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৯ জুলাই, ২০২১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে

চলনবিলে বাড়ি থেকে গরু-ছাগল বিক্রির হিড়িক

ঈদের আগ মুহূর্তে চলনবিল অঞ্চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে বাড়ি থেকেই কৃষক ও খামারিদের কোরবানির গরু-ছাগল বিক্রির হিড়িক।

মুলতঃ করোনার মহামারিতে আসন্ন কোরবানির ঈদ কিছুটা হলেও চলনবিলের মানুষের মধ্যে ছন্দ পতন এনে দিয়েছে। বিশেষ করে করোনার অতি মারিতে হাট-বাজারে গিয়ে জনসমাবেশে অনেকেই কোরবানির গরু-ছাগল কিনতে ও বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না।

স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর ও নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ কোরবানির গরুসহ ৬০ থেকে ৬৫ হাজার ছাগল প্রস্তুত রয়েছে।

আর চলনবিলের অনেক মানুষ কোরবানি দিতে হাটে না গিয়ে বাড়ি থেকে গরু-ছাগল কেনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখছেন। আর অনেক কৃষক ও খামারি তাদের নিজ অথবা ছেলে বা পরিচিত জনের ফেসবুক আইডি থেকে বাড়ি থেকে তাদের লালন পালন করা গরু-ছাগল বিক্রি করতে গরুর ছবি, ওজন, উচ্চতাসহ নানা বিবরণ দিয়ে ছবি ও ঠিকানা পোষ্ট দিয়ে এক ধরনের প্রচার-প্রচরণা ও চালাচ্ছেন বলে জানান, তাড়াশের ধানকুন্ঠি গ্রামের পল্লী প্রাণী চিকিৎসক কায়সার আলম।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের কল্যাণে বাড়ি বা খামার থেকে চলনবিল এলাকায় গত ১০ থেকে ১২ দিনে প্রায় সহস্রাধীক গরু ছাগল বিক্রি হয়ে গেছে।

এমনকি ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রামসহ অনেক বড় বড় শহরে কোরবানির গরু সরবরাহ করতে দুর-দুরান্তের গরু ক্রেতা মহাজনরা চলনবিলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কৃষক ও খামারিদের গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাড়াশের কৃষক শামসুল হক জানান, গত ৫ থেকে ৭ দিনে তার এলাকাতেই অনন্তঃ ৬০ থেকে ৭০টি গরু বাড়ি ও খামার থেকে কোন ঝামেলা ছাড়াই বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া উল্লাপাড়া এলাকার চাকরিজীবী সোলেমান হোসেন জানান, কোরবানি দিতে তারা তিন ভাই মিলে পাশ্ববর্তী গ্রাম থেকে ৯৫ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় গরু কিনেছেন। শুধু রহমত আলীও তার তিন ভাই নয়, চলনবিল এলাকায় চাকুরিজীবীসহ নানা পেশার ব্যস্ত ও সচেতন লোকজন করোনাকালীন সময়ে জনসমাগম এড়াতেও ঝামেলামুক্ত থাকতে আশে পাশের এলাকার কৃষকের বাড়ি থেকে কোরবানির জন্য গরু ছাগল কিনছেন বলে জানান, নাটোরের গুরুদাসপুর এলাকার কলেজ শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন।

তিনি আরো জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ গরু ছাগল বিক্রির প্রচারনা এতে কাজ দিচ্ছে বটে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্যাটেনারী সার্জন ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, তার এলাকার কৃষক ও খামারিদের কোরবানির গরু ছাগল বাড়ি বা খামার থেকে বিক্রি করতে তাদের নিজস্ব ফেসবুক আইডিও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় থাকা গ্রামের পল্লী প্রাণী চিকিৎসকদের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর এতে হাট ছাড়াই ভাল সড়ক যোগাযোগ এলাকায় কৃষকও খামারিদের বাড়ি বা খামার থেকে কোরবানির গরু ছাগল বিক্রি বেড়ে গেছে।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close