আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১৩ জুলাই, ২০২১

রানু কর্মকারের মৃতদেহ সৎকারে ফিরোজ-তারেক

অ্যাম্বুলেন্সে এসেছে রানু কর্মকারের মৃতদেহ। সন্ধ্যাও গড়িয়ে গেছে তখন। তবে স্বজনরা সবাই করোনার ভয়ে এগিয়ে আসেনি। অ্যাম্বুলেন্সে মায়ের লাশ নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বসে আছেন তার দুই সন্তান লিটন ও অনুপ কর্মকার। নামানোর লোক নেই। এমন সময় এগিয়ে আসেন মুসলিম দুই যুবক। তারা কাঁধে করে সনাতন ধর্মের ওই নারীর মৃহদেহ তার সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে যান শ্মশানে। সেখানে সৎকার করা হয় রানু কর্মকরের দেহ।

মৃত রানু কর্মকার বরগুনার আমতলী পৌর শহরের পুরান বাজারের বাসিন্দা। সোমবার বিকেলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সৎকারে এগিয়ে আসা মুসলিম দুই যুবক হলেন- পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আ. আজিজ মাস্টারের ছেলে ফিরোজ শাহ্ এবং ৪নম্বর ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মঞ্জুরুল আলম মৃধার ছেলে তারেক।

ফিরোজ শাহ মুঠোফোনে বলেন, আমাদের ধর্ম আলাদা হলেও আমরা একই সমাজে বসবাস করি। যখন দেখলাম করোনার ভয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ কেউ মরদেহের কাছে আসছে না, তখন আমরা দুজন এগিয়ে যাই তাদের সাহায্য করতে।

তবে রানু কর্মকারের মৃত্যু করোনায় হয়েছে কি না সেই রিপোর্ট না পাওয়ায় মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আমতলী,রানু কর্মকার,মৃতদেহ সৎকার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close